রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাটে শিশু ধর্ষণ মামলার সন্দেহভাজন আসামী যুবক শামীম পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। ওই যুবক রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাউদিয়া গ্রামের মৃত শফিকের ছেলে। গত ২৪ জনু বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার ললিতনগর এলাকায় পুলিশের টহল টিমের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। ক্রসফায়ারে নিহত যুবক শামীম এর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। যে মোবাইলটি ওই শিশুর বাড়ি থেকে চুরি
হয়েছিল ধর্ষণের দিন রাতে। শামীম শিশু ধর্ষণ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে গোদাগাড়ী থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার ললিতনগর এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় দুষ্কৃতিকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও জানমাল এবং আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে শামিম নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয় ও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। যে মোবাইলটি ওই শিশুর বাড়ি থেকে চুরি হয়েছিল ধর্ষণের দিন রাতে। শামীম শিশু ধর্ষণ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি। পুলিশের ধারণা সে ওই ধর্ষণের সাথে জড়িত ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন রাতে ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া সুমাইয়া নামের এক শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। পরে গুমের উদ্দেশ্যে লাশ চাপা দিয়ে দেয়া হয়। ২০ জুন সকালে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে লাশ উদ্ধার করে।
এস/আর