মাদকাসক্ত সনাক্তের জন্য গাড়ি চালকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে সড়কে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভায়। এছাড়াও ২ মাসের মধ্যে চালকদের নিয়োগপত্র দিতে হবে এমন সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, টার্মিনাল ছাড়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে কোনো চাঁদা নিতে দেব না। বিভিন্ন পৌরসভা বা জেলার নামে যে কর আদালত করা হয়, সেগুলোও যত্রতত্র তোলা যাবে না, টার্মিনালে তুলতে হবে। সড়কে পুরাতন যানবাহন কতদিন চলতে পারবে, তা যাচাইয়ের জন্য বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে একটি কমিটি করা হয়েছে। শুধু বেসরকারি নয়, সরকারি গাড়িও যাচাই করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চালকদের ২ মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র দিতে হবে। ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে টার্মিনালে টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে। টেস্ট করে তারপর গাড়ি চালাবে।
তিনি বলেন, আমরা নির্ধারিত টার্মিনাল বা স্থান ছাড়া রাস্তায় কোনো রকমের চাঁদা বা সার্ভিস চার্জ যেটা বলে থাকি, তুলতে দেবো না- এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা এটা আইজিপিকে জানিয়ে দিয়েছি, তিনি অ্যাকশনে থাকবেন। পৌরসভাসহ বিভিন্ন ধরনের করও আদায় করা হয়। এগুলোও যাতে স্ট্যান্ড বা টার্মিনাল ছাড়া যত্রটত্র তোলা না হয় সে ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
সরকারি সব জায়গায় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চালকদেরও আমরা ডোপ টেস্টের আওতায় নিয়ে আসছি। বিআরটিএ যখন লাইসেন্স দিচ্ছে তখনও ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। শুধু লাইসেন্সের সময়ই নয়, আমরা টার্মিনালগুলিতে পর্যায়ক্রমে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করবো। গাড়ি যখন তারা চালাবে তার আগেই টেস্ট করে চালাবে, এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত আমরা নিতে যাচ্ছি এবং সে অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। বিআরটিএ-তে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে এটা চালু করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা রয়েছে।
বিএ/