খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: দীর্ঘ ৮ বছর পর বিশেষ কাউন্সিলে বসেছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। পুনর্গঠনের মাধ্যমে দলকে তৃণমূল পর্যন্ত চাঙ্গা করা, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন করে আয়োজনের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলা ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকারসহ জনগণের সামনে একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরা- এই তিনটি প্রধান লক্ষ্য নিয়েই আয়োজন করা হয়েছে এই বিশেষ কাউন্সিল।
পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ, দলীয় নির্দেশ অমান্য করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া দলের দুই নেতাকে নিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়গুলোও থাকবে আলোচনায়।
শুক্রবার সকাল ১০টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গণফোরামের এই কাউন্সিল। এদিকে কাউন্সিলে ডাক না পেলেও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান অনুষ্ঠানে এসে হাজির হয়েছেন।
এ ব্যাপারে গণফোরামের নেতারা বলছেন, আমরা কিছু জানি না।
এর আগে গণফোরামের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেছিলেন, ‘দল থেকে বহিষ্কার না করা হলেও কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাকে। আমন্ত্রণ পাননি ধানের শীষ প্রতীকে গণফোরামের বিজয়ী প্রার্থী সুলতান মনসুরকেও। শপথ গ্রহণের পরই তাকে অবশ্য বহিষ্কার করেছিল গণফোরাম। তাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।’
মোকাব্বির খানকে বহিষ্কার করা হয়নি, তিনি এখনও গণফোরামের নেতা- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
গণফোরামের সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালে। জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করবেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন