খুলনায় চাঁদাবাজি মামলায় তিন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ জনের ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় তাদের প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কনস্টেবল মোল্লা মেসবাহ উদ্দিন (পলাতক), কনস্টেবল ফরহাদ আহমেদ, কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান (পলাতক), আরমান শিকদার জনি ও বায়েজিত। কনস্টেবলরা খুলনা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দৌলতপুর বিএল কলেজের দ্বিতীয় গেটের সামনে শান্তি রানী বিশ্বাসের চায়ের দোকানে উল্লেখিত আসামিরা সাদা পোশাকে মো. শাহরিয়ার রিন্টু ও আবু ইছহাককে বিএল কলেজের দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে আটক রাখে।
এ সময় আসামি মেজবাউদ্দিন নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে তাদের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। দর-কষাকষির একপর্যায়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। পরে এলাকাবাসী ঘটনাটি দৌলতপুর থানাকে জানালে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে দৌলতপুর থানার এসআই কাজী বাবুল হোসেন বাদী হয়ে তিনজন পুলিশ সদস্য ও তাদের সহযোগী দু’জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. বাবলু খান তাদের পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
,বিএ/