নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষে শুক্রবার বিকেলে দারুশা হাইস্কুল মাঠে পবা বিএনপি’র আয়োজনে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, পবা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শাহজাহান আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক , রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও পবা-মোহনপুর থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র মনোণীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেরা বিএনপি’র সাংগটনিক সম্পাদক অ্যধাপক সিরাজুল ইসলাম, জেলা বিএনপি’র সাংঘঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, নওহাটা পৌর মেয়র শেখ মকবুল হোসেন ও মোহপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সভাপতি শামিমুল ইসলাম মুন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পবা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজা। অন্যদের মধ্যে পবা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, হরিপুর ইউপি বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম, দামকুড়া ইউপি সভাপতি কনক হোসেন, হুজুরিপাড়া ইউপি সভাপতি বিডিআর আবুল কালাম, হরিয়ান ইউপি সভাপতি রজব আলী, হড়গ্রাম ইউপি সভাপতি এরশাদ আলী, মোহনপুর উপজেলা
বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান কাজিমুদ্দিন, মহানগর যুবদল সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদল সভাপতি মোজাদ্দে জামানী সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেব দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউজ্জামান পরাগ, জেলা যবদলের সহ-সভাপতি সুলতান আহম্মেদ, পবা উপজেলা যুবদলেঅর যুগ্ম আহবায়ক মোজাফ্ফর হোসেন মুকুল, যুগ্ম আহবায়ক সোহেল রানা, তানসেন আলী, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ শরিফুল ইসলাম জনি, পবা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক শফিউল ইসলাম সজিবসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিলন বলেন, তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া তাঁকে অনেক পূর্বেই সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তাঁকে মনোনীত করায় বিএনপি’ উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে তাঁর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করায় পবা-মোহনপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, এই নির্বাচন অন্যান্য বারের নির্বাচন থেকে একবারেই ভিন্ন। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এই নির্বাচন করা হচ্ছে। অতিতে এমনটা হয়নি। এই নির্বাচন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক
রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজয় ছাড়া বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও ঐক্য ফ্রন্ট কোন কিছুই ভাবছে না। বিএনপি’র বিজয় ছিনিয়ে আনতে হলে সকল নেতাকর্মীকে অতিতের সকল দ্বিধাদন্দ ভূলে মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহবান জানান মিলন। মিলন বলেন, কারাগার ও পুলিশের চোখরাঙ্গানী বিএনপি আর ভয় পায়না। এখন যেখানেই বাধা সেখানেই প্রতিরোধ, এই নীতিতে চরার জন্য নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পরামর্শ দেন তিনি। সেইসাথে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিৎ করতে ঘরে বসে না থেকে সকল বাধা উপেক্ষা করে মাঠে থাকার আহবান এবং প্রতিটি সেন্টার এবং ভোট শুরু থেকে গণনা পর্যন্ত বুথ পাহারা দেওয়ার জন্য সেন্টার কমিটি গঠন করার তাগিদ দেন। এই কমিটি ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখের মধ্যে সেন্ট্রাল কমিটির নিকট জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন পবা-মোহনপুর হচ্ছে বিএনপি’র ঘাটি। তারা তাদের জীবন দিয়ে হলেও ভোট কেন্দ্র পাহারা দেবেন এবং ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিৎ করবেন। তারা আরো বলেন, এখন সরকারী দল প্রিজাইডিং তাদরে দল থেকে নির্বাচন করে পাঠিয়েছে। পুলিশ এই কাজে তাদরে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এই সমস্ত দলীয় প্রিজাইডিং অফিসারদের বাতিল করে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ করার দাবী জানান।
সভাপতি উপস্থিত নেতৃবৃন্দদের ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিৎ করতে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। সেইসাথে দীর্ঘ ১০ বছর পর এইভাবে স্কুল মাঠে সমাবেশ করতে পাড়ায় বিএনপি’র বিজয় বলে আখ্যায়িত করেন। সেইসাথে উপস্থিত সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সভা শেষ করেন। এছাড়াও একই বিষয় নিয়ে মোহনপুর উপজেলা বিএনপি’র আয়োজনে গতকাল শুক্রবার সকালে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অত্র উপজেলার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ মোহনপুর থেকে সর্বোচ্চ ভোট প্রদান করে মিলনকে বিজয়ী করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সেইসাথে প্রতিটি সেন্টার পাহারা দেওয়ার জন্য সাহসী নেতাকর্মীদের সেন্টার কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার পরামর্শ প্রদান করেন তারা।
খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।