বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়তে পারে। সাজা স্থগিত হলে খালেদা জিয়া এখন বাসায় যেভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন আগামী ৬ মাসেও একইভাবে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দণ্ড স্থগিত চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এখন সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত জানাবে।
অবশ্য এর আগে রাজধানীর এক হোটেলে ল রিপোর্টার্স ফোরাম ও এমআরডিআই আয়োজিত আইন সাংবাদিকতা বিষয়ে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছিলেন, বিদেশ যেতে সরকারের কাছে আবেদন করতে হলে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আবার জেলে যেতে হবে।
তিনি বলেন, সাজা মওকুফের ক্ষমতা সরকারের আছে। এ নিয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় ছয়টি উপধারা আছে। এর মধ্যে একটিতে আছে সরকারের ক্ষমতা, সরকার কী করতে পারে। একজনের সাজা শর্ত ছাড়া সম্পূর্ণ মওকুফ করতে পারে অথবা শর্ত ছাড়া কিছুটা মওকুফ করতে পারে। আবার শর্ত সাপেক্ষে পুরোটা মওকুফ করতে পারে কিংবা কিছুটা মওকুফ করতে পারে বা সাসপেন্ড করতে পারে।
আনিসুল হক জানান, উপধারা-২ এ বলা আছে, যে কোর্ট সাজা দিয়েছে সেই কোর্ট সাজা মওকুফ করতে পারে, নাও পারে। উপধারাগুলোতে আরও অনেক কথা বলা আছে। এখানে কিন্তু কোথাও বলা নাই। একটা আবেদন যখন নিষ্পত্তি করে ফেলা হয়, সেই আবেদনটিকে আবার পুনরায় রিকনসিডার (পুনবিবেচনা) করতে পারবে। অর্থাৎ নিষ্পত্তিকৃত আবেদনটি পুনবিবেচনা করার কোনো সুযোগ নাই।
মন্ত্রী বলেন, ৪০১ ধারায় সরকারের ক্ষমতা বলা আছে। এই ৪০১ এর সংস্কারের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ব্যবহার করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটা ব্যবহার করে। তাতে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী থেকে অনুমতি নিতে হয়। এটা প্রয়োগ করার আগেই রুল অফ বিজনেস অনুযায়ী আইনমন্ত্রণালয় থেকে মতামত নিতে হয়। এমন একটা বিষয় নিয়ে আমার মতামত দিতে হয়েছে।
করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। শর্ত দুই হলো তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না।
জেএন