1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে ‘খুনি’ বলা সাংবাদিক রফিক এখনো কালের কণ্ঠে বহাল! - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে ‘খুনি’ বলা সাংবাদিক রফিক এখনো কালের কণ্ঠে বহাল!

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘খুনি’ বলা আওয়ামী লীগের দোসর সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তার পাঠানো মনগড়া বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম রফিকের নামের দ্বারা সংবাদও প্রকাশ হয়েছে দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায়। তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও তদন্তে নেই কোনো অগ্রগতি। এ নিয়ে সাংবাদিক নেতারা চরম ক্ষুব্ধ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার পতনের পর ২৭ আগস্ট রাজশাহীর ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বজলুল হক মন্টু বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে দায়ের হওয়া ওই মামলায় আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলায় আসামিরা হলেন- দৈনিক কালের কণ্ঠের রফিকুল ইসলাম, জিটিভির রাশেদ রিপন, দৈনিক করতোয়া পত্রিকার রোজিনা সুলতানা রোজি ও দৈনিক উপচারের আসগর আলী সাগর।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ‘২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে মহাসমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে সংবাদ কাভারের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত মিডিয়া কার্ড ইস্যু করা হয়। সে সময় অনেক সাংবাদিক সে কার্ড স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করে। কিন্তু রফিকুল, রাশেদ রিপন, রোজি ও সাগরসহ কয়েকজন সাংবাদিক কার্ড গ্রহণ না করে মহাসমাবেশের আগের দিন ২ ডিসেম্বর বজলুল হক মন্টুর কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মন্টু চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে তাকে আসামিরা হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আসামিরা বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর, অপমানজনক ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে খুনি ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন মানহানিকর মন্তব্য করে নিজেদের ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করে। মানহানিকর ওই সংবাদটি মহাসমাবেশের দিন অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে প্রচারিত হয়।’

অভিযোগ রয়েছে, রফিকুলের পিতা পেশায় সাইকেল মিস্ত্রী ছিলেন। সাংবাদিকতা শুরু করে জেলার দুর্গাপুর থেকে শহরে এসে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে চাঁদাবাজিসহ অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন রফিকুল। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন এবং সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ‘পোষা সাংবাদিক’ ছিলেন তিনি। এ দুজনের নির্দেশে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তথ্যসন্ত্রাস চালিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকার না নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য লিখে নিউজ করেছেন একাধিকবার।

সবশেষ গত ১৩ জুন ‘তদবির সুপারিশে নিয়োগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ রফিকুল ইসলামের বাইনেমে কালের কণ্ঠে প্রকাশ হয়। নিউজটি বেতারে নিয়োগ সংক্রান্ত ছিল। সেখানে রাজশাহী বেতারের আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক সুলতানা পারভীনের নামে একটি বক্তব্য উল্লেখ করা হয়। সোমবার (১৬ জুন) এক প্রতিবাদলিপিতে সুলতানা পারভীন বলেন, ‘সংবাদে বানোয়াট, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। রফিকুল আমার কথা অন্যভাবে পত্রিকায় ছাপিয়েছে। মিথ্যা, মনগড়া, কাল্পনিক তথ্য পরিবেশন করেছে।’ তবে এখনো কালের কণ্ঠ পত্রিকায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন রফিকুল।

এসব ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা চরম ক্ষুব্ধ। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ও সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে যোগ্য ও বঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলু বলেন, দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু রাজশাহীতে গণমাধ্যম স্বৈরাচার ও ভারতের কব্জামুক্ত হয়নি। সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছে, ওই কমিশনের প্রধান রাজশাহীতেও এসেছিলেন। তবু এখনো কীভাবে আওয়ামী লীগ ও ভারতের র-এর এজেন্টরা গণমাধ্যমে থাকে, আমার প্রশ্ন।

সাংবাদিক জুলু বলেন, চিহ্নিত আওয়ামী লীগের দালাল সাংবাদিকদের অপসারণ করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় ছাত্র-জনতাসহ পেশাজীবীদের নিয়ে রাজশাহীতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমরা কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি, জীবন গেলেও আপোষ করবো না।

এ ব্যাপারে রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও দায়ের হওয়া মামলাটির বাদি বজলুল হক মন্টু বলেন, হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম। তারা সাংবাদিকতার নামে খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করত। তারা এখনো কিভাবে ওই পত্রিকা ও টিভিগুলোতে বহাল থাকে আমার প্রশ্ন। তাদেরকে এখনো গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? বোয়ালিয়া থানা পুলিশ স্বৈরাচারের দোসরদের ধরছে না, আমি নিজেই হতাশ। আমার করা মামলার একটা আসামিও এরেস্ট হয়নি। মন্টু বলেন, আমাকে মেরে ফেলছিল, আইসিইউতে ছিলাম। কিন্তু আসামিরা কেউ এরেস্ট হয়নি। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার ও হলুদ সাংবাদিকদের চাকরি থেকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা করেছে। আমি জামিনে নাই এটা সঠিক। কিন্তু হঠাৎ নিউজ করার কি হলো বুঝতে পারছি না; আপনাদের বিরুদ্ধে তো কিছু বলিনি। আরএমপির বোয়ালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, জামিনের বিষয় আমার জানা নেই। কাগজপত্র দেখতে হবে।

জানতে চাইলে বোয়ালিয়া থানার ওসি মোসতাক হোসেন বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএ..

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team