বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে সরকার। এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ল।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না—এ দুটি শর্তে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হলো।
এদিকে খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ৯ আগস্ট মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়া গতকালের চেয়ে আজ কিছুটা ভালো আছেন। তবে উনার চিকিৎসার জন্য অ্যাডভান্স (আরও উন্নত) হাসপাতাল প্রয়োজন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আথর্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ের দিনই খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়া হয়। একই বছর ৩০ অক্টোবর মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করা হয়।
বিএ/