খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকেন্দ্রিক এবং বিভিন্ন সময়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের আন্দোলনে যে জ্বালাও-পোড়াও-অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যা হয়েছে, তার জন্য বরাবরই অভিযোগ উঠেছে জামায়াতের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতাবিরোধী দলটির এই সহিংসতার কারণে পরে তাদের কর্মকাণ্ডের দায় না নেওয়ার কথা জানিয়ে দেয় বিএনপি। এমনকি জোটের কর্মসূচিতেও জামায়াতকে এড়িয়ে যেতে দেখা যায়।
সহিংসতায় অভিযুক্ত সেই জামায়াতের নেতারা এখন বলছেন, তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনসহ ২০ দলীয় জোট ঘোষিত সব কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন। যদিও যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের নেতাদের ফাঁসির সময় বিএনপির নীরবতায় জোটের সম্পর্কে টানাপোড়েনের অনেক খবর ছড়িয়েছিল। এরপর কর্মসূচিগুলোতে জামায়াতকে এড়িয়ে যাওয়া সেই টানাপোড়েনের খবরকে করেছিল আরও চাঙ্গা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের এক নেতা বলেন, ২০ দলীয় জোট গঠনের পর থেকে সব কর্মসূচিতে জামায়াত সক্রিয় ছিল। ভবিষ্যতেও জোটের সব আন্দোলনে সক্রিয় থাকবে।
ওই নেতার সঙ্গে আলাপে জানা যায়, জোটের আন্দোলনে থাকার অংশ হিসেবেই বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে মাঠে থাকছে তাদের দল। খালেদা জিয়াকে ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানোর পর গত এক সপ্তাহে বিএনপির সব কর্মসূচিতে গোপনে অংশ নেন যুদ্ধাপরাধীদের নেতৃত্বে চলতে থাকা দলটির নেতারা।
আবার বিএনপির কর্মসূচিতেও জামায়াতি স্টাইল লক্ষ্য করা যায়। সচরাচর মসজিদ থেকে জুমার নামাজের পর মিছিল করার মতো কোনো কর্মসূচি বিএনপিকে পালন করতে দেখা না গেলেও ৯ ফেব্রুয়ারি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জুমার পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে মিছিল বের করে দলটি।
একটি সূত্র জানায়, ওইদিনের মিছিলে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের নেতারাও অংশ নেন। আর যারা মিছিলে অংশ নেন তাদের সবাই জুমার নামাজ পড়েই বের হয়েছিলেন। ২০১০ সালের আগে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে এ ধরনের মিছিল করতে দেখা যেতো জামায়াতকে।
পরের দিন ১০ ফেব্রুয়ারি ছিল বিএনপির ঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচি। সেদিনও জামায়াতি স্টাইলে ঝটিকা মিছিল করে একাধিকবার সরকার চালানো বিএনপি। সময় ও স্থান নির্ধারণ না করে গোপনে নেতাকর্মীদের একটি স্পট জড়ো হতে বলে দেওয়া হয়। নেতাকর্মীরা ওই স্পটে বিচ্ছিন্নভাবে ঘোরাফেরা করেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ