খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কারাগারে রাখতে সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হয়ে হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
আজ বুধবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য ৩ জুলাই দিন ঠিক করার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জয়নুল আবেদীন এ অভিযোগ করেন।
জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কারাগারে রাখতে সরকার ও দুদক একাকার হয়ে গেছে। তারা (সরকার ও দুদক) ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে তার জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ করার জন্য জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। জামিন স্থগিত চাওয়া, মামলার দ্রুত শুনানির চেষ্টা করা সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, সুপ্রিমকোর্টে ডেথ রেফারেন্সের কত মামলা পড়ে রয়েছে, কত আপিল মামলা পড়ে রয়েছে-ওইসব মামলার শুনানি করছেন না। শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খালেদা জিয়ার মামলা দ্রুত শুনানির চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই আইনজীবী আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখতে নানা কূটকৌশল করছে সরকার ও দুদকের আইনজীবীরা, যার কারণে চার মাস আগে দণ্ডপ্রাপ্ত মামলায় জামিন পাওয়ার পরেও বিএনপি চেয়ারপারসন কারামুক্তি পাননি। একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হচ্ছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এরপর ওই দিন থেকেই পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়া বন্দী আছেন।
এ মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন বহাল রেখে আপিল বিভাগ ১৬ মে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে করা খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী দুদক আপিল শুনানির আবেদন জানালে হাইকোর্ট আগামী ৩ জুলাই আপিল শুনানির দিন ধার্য করেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ