খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: এ যেন বেড়ায় ক্ষেত খাওয়ার ঘটনা। যাদের দায়িত্ব ছিল হতদরিদ্রদের হাতে ওএমএসের চাল-আটা তুলে দেয়া, তারাই কালোবাজারির রমরমা বাণিজ্যে ব্যস্ত। শনিবার রাতে ৮ ট্রাক চাল-আটা বিক্রির সময় রাজধানীর তেঁজগাওয়ের কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামের ম্যানেজারসহ দুজনকে আটক করেছে র্যাব। এছাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওএমএসের কয়েক হাজার বস্তা চাল-আটা।
সরকার নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে কমমূল্যে আটা ও চাল খোলাবাজারে বিক্রির জন্য ঢাকার ১৪১ টি স্থান নির্ধারন করে দেয়। প্রতিদিন যেখানে ২ টন চাল ও একটন আটা বিক্রি হবে সরকার নির্ধারিত মূল্যে। কিন্তু গত কদিন ধরেই কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম থেকে চাল ও আটা ১৪১ টি স্পটের বেশির ভাগ জায়গায় বিক্রির জন্য বের হয়নি।
শনিবার রাত ১০ টার পর থেকেই র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদামে। বিকেল পাঁচটার পরে কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম থেকে কোন ট্রাক বের হওয়ার নিয়ম না থাকলেও সন্ধ্যার পর বের হয় ৮ টি ট্রাক। যাতে ১১৬ টন ওএমএসের আটা ছিলো। পথেই তা আটকে দিয়ে জব্দ করে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় খাদ্য গুদামের ম্যানেজার বলেন এসব তার দায়িত্বে নেই।
যে গোডাউন থেকে আটা বের হয়েছে সেই ২০ নং গোডাউনের ইন্সপেক্টর মনিয়ার হোসেনকে আটক করে র্যাব।
তবে এ অভিযান চলার সময়ও কেউ ভাবেনি আরও বড় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। প্রাথমিক কিছু জিজ্ঞাসাবাদের পর র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামের ম্যানেজারকে নিয়ে অভিযানে যায় মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে। সেখানে গিয়ে পাওয়া যায় কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামের সিল দেয়া কয়েক হাজার বস্তা ওএমএসের আটা ও চাল। তবে এখানেও নিজের দায় অস্বীকার করে যান খাদ্য গুদামের ব্যবস্থাপক।
তবে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলছেন গত কয়েকদিন ধরে এ চক্রটি ওএমএসের চাল বিক্রি করে আসছে।
এ ঘটনায় পরে আটক কর হয় কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামের ব্যবস্থাপককে। আটক হওয়া দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও জানিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।
জেএন