বিশ্বে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ক্ষুধা,দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ। যা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। না খেতে পেয়ে প্রতি চার সেকেন্ডে মারা যাচ্ছে মানুষ। প্রতি মিনিটে প্রাণ হারাচ্ছে ১৫ জন এবং দিনে ১৯ হাজার ৭০০ জন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দুই শতাধিক এনজিও’র এক বিবৃতিতে ভয়ানক এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে শুরু হয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) উপস্থিত বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্লান ইন্টারন্যাশনালের মতো বিশ্বের ৭৫টি দেশের ২৩৮টি এনজিওর পক্ষ থেকে একটি খোলা চিঠি লেখা হয়েছে।
ওই খোলা চিঠিতেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এ মুহূর্তে বিশ্বের ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ক্ষুধা ও চরম দারিদ্র্যের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। এ সংখ্যা ২০১৯ সালের চেয়ে দ্বিগুণ।
চিঠিতে ক্ষুধা সংকটের অবসানের জন্য এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এনজিওগুলো বলছে, নেতারা বিশ্বকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত রাখার গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেও এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে দেশে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে।
এনজিওগুলোর বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিদিন ১৯ হাজার ৭০০ জন ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। যা সেকেন্ডের হিসাবে প্রতি চার সেকেন্ডে একজন।
চিঠির স্বাক্ষরকারী ইয়েমেন ফ্যামিলি কেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মোহান্না আহমেদ আলী এলজাবালি বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, কৃষি ও ফসল কাটার সমস্ত প্রযুক্তির সঙ্গে আজ আমরা ২১ শতকের দুর্ভিক্ষের কথা বলছি।
তিনি আরও বলেন, এটি একটি দেশ বা একটি মহাদেশের বিষয় নয়, এটি সমগ্র মানবতার প্রতি অবিচার। আমাদের তাৎক্ষণিক জীবনরক্ষাকারী খাদ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা দেওয়ার ওপর ফোকাস করার জন্য একটি মুহূর্ত আর অপেক্ষা করা উচিত নয়।
মানুষ যেন তাদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিতে পারে এবং নিজেদের ও তাদের পরিবারের জন্য খাদ্য সরবরাহ করতে পারে। সূত্র: স্কুপ ওয়ার্ল্ড
বিএ/