শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে লকডাউন বিধি। তাই সাধারণ মানুষ সরকারী নির্দেশনা মেনে সুরক্ষিত থাকতে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। আর এ কারনে সমাজে সৃষ্টি হয়েছে ভিন্ন দুই চিত্র। কেউবা নিজেদের সঞ্চয় আর মজুদ থাকা খাদ্য নিয়ে পরিবারের সাথে একান্তে সময় কাটাচ্ছে আবার একশ্রেণীর মানুষ যারা দিন এনে দিন খায় তারা কর্মের অভাবে তারা সবচেয়ে বেশি অনুভব করছে করোনার কি মারাত্মক প্রভাব। কেউবা সহযোগিতা পাচ্ছে আবার কেউ আত্মসম্মানের কারণে কাউকে মুখ ফুটে কিছু বলতেও পারছেন না। ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে বগুড়ার শেরপুরে এক হতদরিদ্র কোন উপায় না পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বরনাপন্ন হয়।
১২ এপ্রিল রোববার রাত ৯টায় দ্রæততম সময়ে তাদের কাছে পুরো ১ সপ্তাহের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জামশেদ আলাম রানা । মানবতার জয় সর্বদা হয় এমন বাক্য আবারো ফুটে উঠেছিল ওই দিনমজুর মানুষটি ও তার স্ত্রী’র অশ্রুসিক্ত নয়নে।
জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় শেরপুর স্থানীয় এক দিনমজুরের করুণ কন্ঠে খাবারের সহযোগিতা চেয়ে ৯৯৯ এর মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ফোন আসে। সাথে সাথেই সেই ক্ষুধার্ত পরিবারের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে ব্যাকুল হয়ে উঠেন মানবিক এই কর্মকর্তারা। দ্রæততম সময়ে ঐ পরিবারকে খাবার পৌঁছে দেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামশেদ আলাম রানা।
এ সময় তারা বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে স্ব-স্ব উদ্যোগে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে সচেতন ও পরিচ্ছন্ন থাকার মাধ্যমে দ্রæততম সময়ে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এসময়ে কেউ যেন খাদ্য সঙ্কটে না থাকে মানবিক দিক বিবেচনা করে সেদিকেও আশেপাশের সকল কে সহানুভূতির দৃষ্টি রাখার লক্ষ্যে উদাত্য আহব্বান জানান কর্মকর্তারা।
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।