অবৈধ ক্ষমতাসীনদের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে মন্তব্য করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে নাগরিক ঐক্য। সোমবার (৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়- দেশের জনগণ জাগছে, শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এসেছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। যে কোনো সময় এই ক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল ছড়িয়ে পড়বে। অবৈধ ক্ষমতাসীনদের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির এই গনবিরোধী সিদ্ধান্ত সেই বিদায়কে তরান্বিত করবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের দাম প্রায় ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। প্রিপেইড মিটার গ্রাহকের ক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছে ৪৩ শতাংশ। যখন দেশের জনগণ দৈনন্দিন বাজারের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সরকার জনগণের সাথে তামাশা করছে। নিজেদের দূর্নীতি, লুটপাট, দুঃশাসন, বিদেশে টাকা পাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার। আর সেই ঘাটতি মেটাতে তারা জনগণের উপর খরচের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। জনবিচ্ছিন্ন সরকার যে দেশের জনগণের তোয়াক্কা করে না, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি তার আরেকটি প্রমাণ।
তারা বলেন, সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রায় ২৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়বে দেশের কৃষি উৎপাদনে। যে সময়ে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে কৃষি সহ অন্যান্য সকল উৎপাদনশীল খাতকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন, সেই সময়ে দেশের কৃষি উৎপাদন ব্যাহত করার আয়োজন করছে সরকার। বৃহৎ শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ।
অব্যবস্থাপনা, দূর্নীতি, লুটপাট আর বিদেশে টাকা পাচারের মাধ্যমে সরকার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খালি করে ফেলছে। যখন দেশ-বিদেশের সকল অর্থনীতিবিদ বলছেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা, তখন রপ্তানি শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সরকার রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
বিএ