হিজাব নিয়ে বিতর্কের পর ভারতের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নামাজ আদায় নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতর নামাজ আদায়ের অভিযোগ জানিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা। ওই ঘটনার তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস। জানা গেছে, ভারতের মধ্যপ্রদেশের হরিসিং গৌর সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরে নামাজ আদায় করেন। বিষয়টি প্রকাশ পায় একটি ভিডিওতে।
এরপর ওই মুসলিম ছাত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানায় একদল শিক্ষার্থী। তাদের বক্তব্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধর্মীয় আচরণের জায়গা নয়, তাই ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সাগর শাখার প্রধান উমেশ শরাফ অভিযোগ করেন, যে ছাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি দীর্ঘদিন হিজাব পরে ক্লাসে আসছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় আচরণ মেনে নেওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন,
গত শুক্রবার বিকালে দেখা যায় তিনি ক্লাসরুমে নমাজ পড়ছিলেন। বিষয়টি আপত্তিকর। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব ধর্মের মানুষ আসেন।অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। হরিসিং গৌর সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নীলিমা গুপ্ত বলেন, ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে, তারা যেন ধর্মীয় প্রার্থনা নিজ বাড়িতে করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পড়াশোনার জায়গা।বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সন্তোষ শাহগৌড়া জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরে নমাজ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিও ক্লিপ পেয়েছি। পাঁচ সদস্যের যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদেরকে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বছরের শুরুর দিকে হিজাব পরে আসায় ক্লাসে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক নিয়ে কর্ণাটকসহ সরগরম হয়ে উঠে পুরো ভারত। হিজাববিরোধীরা বলছেন, কোনোভাবেই ধর্মীয় পোশাক নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা যাবে না। অন্যদিকে হিজাবের পক্ষে অনেকে দাবি করেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে আসতে পারছেন না। ফলে পরীক্ষায় বসতে সমস্যা হচ্ছে তাদের।
বিএ