রাবি প্রতিনিধিঃ ফের তিন ইস্যুতে আন্দোলনে নেমেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ১০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্যারিস রোডে এসে মিলিত হন তারা। পরে মেইন গেটের তালা খুলে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাধা দেয়। তবে শিক্ষার্থীদের ক্রমাগত চাপে পড়ে তালা খুলে দিতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্ত্রীদের অশালীন বক্তব্য প্রত্যাহার, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ বহন এবং গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
এ সময় মতিয়ার কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, ইনুর কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, বঙ্গবন্ধুর বাংলাই বৈষম্যের ঠাঁয় নাই, মুক্তিযোদ্ধার বাংলাই বৈষম্যের ঠাই নাই, ম তে মতিয়া তুই রাজাকার তুই রাজাকার, আমার ভাই আহত কেন প্রশাসন জবাব চাই, আমার বোন আহত কেন প্রশাসন জবাব চাই ইত্যাদি স্লোগানের মাধ্যমে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে কোটা সংস্কার কমিটির রাবি শাখা আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফ বলেন, ‘সরকারকে আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। আমাদের এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ছোট করে দেখবেন দয়া করে। আজ বাংলার তরুণরা তাদের দাবি আদায়ে এক হয়েছে। তাদের দাবিগুলো মেনে নিন’।
এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ‘অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী চাই কোটা ব্যবস্থার সংস্কার হোক। তবে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত আসলে কোটা সংস্কারের এই আন্দোলনের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করা হবে’।
এব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বলেন, ‘আমরা চাই শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের জন্য সকল ধরনের সহিংসতা এড়িয়ে চলুক। তবে তারা যদি সহিংস আন্দোলনে যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবো’।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা হল থেকে দলে দলে আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রথমদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের তালা খুলে দিতে অস্বীকৃতি জানালেও শিক্ষার্থীদের ক্রমাগত চাপে তা খুলে দিতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ