খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ৮ এপ্রিল দায়ের করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলা এবং গাড়ি পোড়ানোর পৃথক দুটি মামলায় আজ মঙ্গলবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আজ মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী এ আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম শুব্রত ঘোষ শুভ আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অপর দুই আসামি হলেন, তরিকুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন। একই মামলায় মো. মশিউর রহমান, রাকিবুল হাসান ওরফে রাকিব, আলী হোসেন শেখ ওরফে আলী, মাসুদ আলম ওরফে মাসুদ ও আবু সাঈদ ফজলে রাব্বির ওরফে সিয়াম নামে পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
এ ছাড়া কোটা সংস্কার নিয়ে ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মাদ রাশেদ খাঁন বর্তমানে পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ ব্যানারে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন একদল তরুণ। গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীরা রাস্তা বন্ধ করে টায়ার ও আসবাবপত্র জ্বালানোসহ নাশকতা এবং পুলিশকে মারধর ও কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়া হয়।
ওই ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) ভজন বিশ্বাস গত ১০ এপ্রিল মামলাটি দায়ের করেন। ওই ঘটনায় আরও দুটি মামলা করে পুলিশ। আর উপাচার্যের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তবে কোনো মামলার এজাহারেই আসামির নাম উল্লেখ নেই। পরে আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দিলেও সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ