খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সংসদে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, সরকারি চাকরিতে আর কোনো কোটা থাকবে না। গত ১১ এপ্রিল তিনি এই ঘোষণা দেন।
সে সময়ে দ্রুত কোটা বাতিল কিংবা সংস্কার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি করেছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সরকারি দলের নেতারাও তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আশ্বাস দিয়েছিলেন।
কিন্তু, এরপর প্রায় আড়াই মাস কেটে গেছে। কোটা নিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন সরকার জারি করেনি। কবে হবে তারও কোনো ইঙ্গিত দেই।
এমন প্রেক্ষাপটে ফের আন্দোলনে নামার চিন্তা-ভাবনা করছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের বিষয়ে আগামী শনিবার সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব থাকা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমরা ৫ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছি। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার বিষয়ে প্রজ্ঞাপনের আশ্বাস এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা বুঝতে পারছি, সহজে দাবি আদায় হবে না। আগামী শনিবার সংবাদ সম্মেলন আছে, সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
আন্দোলনকারীদের দাবি, কোটার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তার সেই ঘোষণা কার্যত এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘৫ দফা দাবির আলোকে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে শিগগিরই দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমরা কোটার যৌক্তিক সংস্কার চাই, সেটি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে এখনো কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম।
তিনি বলেন, ‘কোটা বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোটা সংস্কার সংক্রান্ত কমিটির যে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ফলে এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই।’
তবে সম্প্রতি সংসদে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় বক্তব্য দিয়েছেন। মূলত তার এই বক্তব্যের পরই আন্দোলনকারীরা নড়চেড়ে বসছেন।পরিবর্তন ডটকম
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ