বিশেষ প্রতিবেদক :
প্রচার-প্রচারণা ইতমধ্যেই শেষ হয়েছে। রাত পোহালেই রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। নগরবাসী শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে নগরপিতা নির্বাচন করবেন। ভোটের মাধ্যমেই নির্ধরণ করবেন নগরবাসী পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে। সিটি নির্বাচন উপলক্ষে যে কোন অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে ও আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে রাজশাহী মহানগরীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ান র্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর পদে মোট ২১৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। এরমধ্যে মেয়র পদে ৫ জন, কাউন্সিলর পদে ১৬০ জন ও নারী কাউন্সিলর পদে ৫২ জন প্রার্থী রয়েছে।
৫ জন মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে বিএনপি ও ২০ দল মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও নগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, আ’লীগ ও ১৪ দল মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও নগর আ’লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাড. মুরাদ মোর্শেদ ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান।
৫ জন প্রার্থী হলেও বড় দুই দলের দুই হেভিওয়েট প্রার্থীকে নিয়েই চলছে জল্পনা ও কল্পনা। নগরের ভোটাররা বলছেন বিএনপি ও আ’লীগ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে।
রাসিক নির্বাচনে ১৩৮ কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১৩৮ কেন্দ্রের মধ্যে ১১৪ টি কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধার উপর ভিত্তি করে এসব কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্য কেন্দ্রের তুলনায় এসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে বড় দুই দলের হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপি মনোনীত মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও আ’লীগ মনোনীত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রচার-প্রচারণা ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা প্রচার-প্রচারণা চালান। পিছিয়ে ছিলেন না তাদের সহধর্মিণীরাও। বুলবুলের সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা সিমি ও লিটনের সহধর্মিণী নগর আ’লীগের সহসভাপতি শাহিন আক্তার রেণীও । দিনরাত নিজ স্বামীর পক্ষে ভোটের প্রচারণা চালান তারা। এ ছাড়া দুই দলের কেন্দ্রীয় ও আশেপাশের জেলা উপজেলার নেতার প্রচার-প্রচারণা চালান।
এদিকে, বড় দুই দলের প্রার্থী একবার করে মেয়র ছিলেন। গত ২০১৩ সালের নির্বাচনে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মধ্যে কনটেস্ট হয়। এরমধ্যে বুলবুল ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৮টি ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি খায়রুজ্জামান লিটন ৮৩ হাজার ৭২৬ ভোট পান। বুলবুল ৪৭ হাজার ৩৩২ ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালে লিটন ৯৮ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ৭৪ হাজার ৫৫৫টি ভোট পান। ২৩ হাজার ৮১০ ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন লিটন।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।