খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনা কারণে এখন দেশ প্রায় অবরুদ্ধ। গণপরিবহন, রেল যোগাযোগ ও নৌপরিবহন বন্ধ থাকায় কৃষিজাত পণ্য পরিবহন বাধার সম্মুখীন হয়েছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। এই প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
শনিবার ‘করোনা মোকাবিলায় বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানসমূহের তৎপরতার কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সরকারের প্রতি সুপারিশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সমস্ত পরিবহন ব্যবস্থা এই মূহুর্তে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের যেই সমস্ত সরবরাহ কাঠামো ছিল মাঠ থেকে ভোক্তার কাছে আসা এবং ভোক্তার থেকে এই চাহিদাটা ঠিকমত মাঠ পর্যায়ে জানানো সেটা এখন ভেঙে গেছে। এ কারণে মাঠ পর্যায়ে উৎপাদকরা বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রে যারা রয়েছে তারা খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। আমাদের কৃষি উদ্যোক্তারা যারা আছেন তাদের আর্থিক সক্ষমতা ক্রমান্বয়ে ভেঙে পড়েছে এবং তারাও এক ধরনের ঋণের জালে আটকে পড়েছেন।
‘আমাদের প্রস্তাব হলো সরকারের পক্ষ থেকে খুব দ্রুততার সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে এই কৃষি উদ্যোক্তার কাছ থেকে ফসল শহরে আনা। বিশেষ করে ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য একটি পরিবহন চ্যানেল ব্যবস্থা করা দরকার। সেটা সব ধরনের নিয়মনীতি মেনে চলবে। সম্ভব হলে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে এগুলিকে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় সরবরাহের জন্য আমরা প্রস্তাব করছি।’
সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কৃষি পণ্য পরিবহনের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য আসছে। কৃষকের ফসল মাঠে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা এটা পাঠাতে পারছে না। যেহেতু প্রচলিত বাণিজ্যিক কাঠামো , সরবরাহ কাঠামো ভেঙে পড়েছে। সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থায় পণ্যের সরবরাহ চেইন চালু করার কথা বলেছি। সেটা সামরিক ব্যবস্থাপনায় করার ক্ষেত্রে সুবিধা সরকারের আছে বলে আমরা মনে করি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এটা হতে পারে। সেই জন্য স্থানীয় পর্যায়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনারও একটা সমন্বয় লাগবে এট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কৃষক পণ্য বিক্রি করতে না পারলে বিপর্যয়ে পড়বে মন্তব্য করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সরবরাহ ব্যবস্থা ভাল না হলে কৃষকদের একটা বড় ধরনের বিপর্যয় হয়ে যাচ্ছে । এটা চোখের সামনে আমরা দেখতে পাচ্ছি। গণমাধ্যমের বিভিন্ন রিপোর্টেও সেটা এসেছে। করোনা আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানিক, সামাজিক, রাজনৈতিক দুর্বলাতা অত্যন্ত প্রকটভাবে দেখিয়ে দিয়েছে। তাই আমাদের মধ্যমেয়াদি সমাধানের চিন্তা এই স্বল্পমেয়াদি সমাধানের মধ্যে থেকেই খুঁজে বের করতে হবে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কৃষক ফসল ফলাচ্ছে সেগুলো যেন পঁচে না যায়। বিশেষ করে টমেটো, শশা বিভিন্ন রকমের সবজি এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ব্রিফিংয়ে নিজ নিজ বাসা থেকে সংযুক্ত হন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপের সদস্য মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।