কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া শহরতলীর উদিবাড়ি এলাকায় সাদিক (৯) নামে এক শিশুর সুন্নাতে খৎনা করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন হাজাম (যিনি খতনা করেন)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাজাম ফুরকান আলী খলিফাকে (৭০) আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় শিশু সাদিককে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাদিক স্থানীয় আকতার হোসেনের ছেলে ও উদিবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র। আর আটক হাজাম ফুরকান আলী খলিফা সদর উপজেলার কবুরহাট খলিফাপাড়ার মৃত আব্দুল আজিজ খলিফার ছেলে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ওহিদুল আলম জানান, শিশু সাদিকের পুরুষাঙ্গের দুই তৃতীয়ংশ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। জরুরি সার্জারি বিভাগে শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় শল্য চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশুটিকে বাঁচানো গেলেও পরবর্তীতে সে কতটুকু স্বাভাবিক হতে পারবে সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
সাদিকের বাবা আকতার হোসেন বলেন, সকাল ৯টায় ছেলের খতনা করতে হাজাম ফুরকান আলী বাড়িতে আসেন। পরে যথারীতি নিয়মে খতনা করতে গিয়ে পরপর দুইবার ক্ষুর চালিয়ে পুরুষাঙ্গের মাথা থেকে দুই টুকরো কেটে ফেলেন। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরিস্থিতি যখন খুব খারাপের দিকে যায় তখন দ্রুত ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, খতনা করতে গিয়ে শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে হাজাম ফুরকান আলী খলিফাকে আটক করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই