লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধিঃ শীত আসলেই গ্রাম থেকে শহরে টাটকা নানা সবজির সমারহ দেখা যায়। কিন্তু সে সবজির পাশা পাশি ভোজন রসিক মানুষেদের মনে করিয়ে দেয় আর একটি উপদেয় খাবারের কথা। আর সেটি হলো এ অঞ্চলের সুস্বাদু উপাদেয় খাবার কুমড়ি বড়ি। বর্তমানে খাবারটি গ্রাম থেকে শহরেও পৌছে গেছে। আর শীত আসলেই নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নারীরা ব্যাস্ত হয়ে পড়েন কুমড়ি বড়ি তৈরীর জন্য।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে দেখা যায় শীত মৌসুমের উপাদেয় খাবার কুমড়ো বড়ি তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন নারীরা। কুমড়ি বড়ি তৈরী করা অবস্থায় উপজেলার কেশবপুর গ্রামের মনোয়ারা জানান, বছরের এ সময় নতুন মাসকলাই ঘরে আসে। আর কুমড়ি বড়ির অন্যতম উপদান হলো এ মাসকালাই। কি ভাবে তৈরী করে এ বড়ি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রথমে মাসকালাই জাতায় ভেঙ্গে নিয়ে এক দিন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। পরের দিন সে কালাই থেকে তার খোসা পরিস্কার করে শিল-পাটায় (মরিচ বাটার যন্ত্র) পিসে পেস্টের মত করে নিতে হয়। এর পরে এর সাথে পরিমানমত পাকা চালকুমড়া
থেতলিয়ে এর ভিতরের পানি ঝরিয়ে নিয়ে অবশিষ্ট আঁশ যুক্ত অংশ,কালোজিরা ও জিরা ভালোভাবে মিশিয়ে অনেক সময় ধরে ফেটে নিতে হয়। এর পর সেগুলি হাতের বিশেষ কায়দায় শক্ত নেট জাতীয় বস্তুর উপর বসিয়ে কয়েক দিন রোদে শুকিয়ে নিতে হয়. ব্যাস হয়ে গেল সুস্বাদু কুমড়ি বড়ি। এর পর শুকনো কুমড়ি বড়ি দিয়ে তরকারী রান্না করলেই হয়ে যাবে সুস্বাদু উপাদেয় খাবার। এ বড়ি দীর্ঘ দিন সংরক্ষন করা যায়। গ্রাম অঞ্চলের হাট বাজারে এ বড়ি ব্যাপকভাবে বিক্রি হয়। গ্রাম থেকে শহরেও এ বড়ির স্বাদ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতি বছর এ অঞ্চল থেকে শহরর অনেক লোক এই কুমড়ি বড়ি সংগ্রহ করে থাকেন।
জেএন