কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সোমবার (১ মার্চ) রাত ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের একাদশ আবর্তনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী সোহেল হাওলাদারকে সালমান চৌধুরী, প্রীতম সেন, সিফাত, সোহাগ, আল-আমিন, অভিসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী হামলা করেন। এসময় সোহেলের সাথে থাকা ছাত্রলীগকর্মী সত্যজিৎ সাহা সেতু, ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফ, সৌমিকসহ কয়েকজন প্রতিরোধ করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সোহেল হাওলাদারের চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয় এবং প্রীতম সেন নাকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
পরবর্তী সময়ে সোহেল তালুকদারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হয় এবং প্রীতম সেনকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
সোহেল হাওলাদার বলেন, আমি কিছু বুঝে ওঠার আগে হুট করে সামনে ও পিছন থেকে আমার উপর আক্রমণ করা হয়। এ সময় চোখে আঘাতের জন্য আমি কিছু দেখতে পাইনি। তবে বুঝতে পারছিলাম আমার বন্ধুরা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।
এদিকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে ছাত্রলীগকর্মী সালমান চৌধুরী বলেন, আমি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে বের হয়ে দেখি আমার বন্ধু আহত অবস্থায় আসতেছে। ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। ঘটনার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই।
এ বিষয়ে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, আমরা এটা নিয়ে আগামীকাল ইলিয়াস ভাই (শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি) এলে সন্ধ্যায় বসবো। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আজ (মঙ্গলবার) আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রক্টরিয়াল বডি, যাদের সাথে ঝামেলা হয়েছে তাদের এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে বসে মীমাংসার চেষ্টা করবো। যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেএন