খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: অপার মহিমার মাস রমজান। আত্মশুদ্ধি-আত্মগঠনের এ মাসে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তোষ অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। রমজান মাসকে সঠিকভাবে পালনে করণীয় ও বর্জনীয়সহ নানা বিষয়ে জানার থাকে মুসল্লিদের। এজন্য মাহে রমজানে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের বিশেষ আয়োজন ‘আপনার জিজ্ঞাসা’।
এই আয়োজনের মাধ্যমে (নহ২৪.রংষধস@মসধরষ.পড়স ঠিকানায় ইমেইল করে) পাঠক তার রমজান বিষয়ক প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারেন উত্তর। পবিত্র কোরআন ও হাদিস শরিফের আলোকে পাঠকের জিজ্ঞাসার উত্তর দেবেন বিশিষ্ট মুফাস্সিরে কুরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী। এরইমধ্যে এই আয়োজনে প্রশ্নকর্তা পাঠকরা জেনে নিন তাদের উত্তর।
প্রশ্ন: কী কী কারণে রোজা মাকরুহ হয়?
উত্তর:
১. অনাবশ্যক কোনো জিনিস চিবানো।
২. কোনো দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখা।
৩. গড়গড়া করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া কিন্তু পানি যদি নাক দিয়ে গলায় পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।
৪. ইচ্ছাকৃত মুখে থুথু জমা করে গলাধঃকরণ করা।
৫. গিবত, গালাগালি ও ঝগড়া-ফ্যাসাদ করা। কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া-ফ্যাসাদ করতে এলে বলতে হবে, আমি রোজাদার তোমাকে প্রত্যুত্তর দিতে অক্ষম।
৬. সারাদিন নাপাক অবস্থায় থাকা। এটি অত্যন্ত গুনাহের কাজ।
৭. অস্থিরতা ও কাতরতা প্রকাশ করা।
৮. কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেস্ট ও মাজন ইত্যাদি দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করা।
৯. গুল লাগানো। যদি গুল থুথুর সঙ্গে গলার ভেতর চলে যায় তবে রোজা ভেঙে যাবে।
১০. গিবত বা পরনিন্দা করা।
১১. মিথ্যা কথা বলা।
১২. ঝগড়া-বিবাদ করা।
১৩. যৌন উদ্দীপক গান শুনা।
১৪. নাচ, গান, সিনেমা দেখা।
১৫. রোজা অবস্থায় কোনো বস্তুর স্বাদ গ্রহণ করলে (যেমন, জিহ্বার উপর দিয়ে লবণ, মরিচ ইত্যাদি পরীক্ষা করলে)। অবশ্য বিশেষ প্রয়োজনে তা বৈধ।
১৬. হারাম দ্রব্য দিয়ে ইফতার করলে।
জবাব
মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
বিশিষ্ট মুফাসসিরে কোরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব
চেয়ারম্যান: বাংলাদেশ মুফাসসির সোসাইটি
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ