খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতি ডেস্ক: নিজের পূর্ব ঘোষণা থেকে সরে এসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে নির্ধারিত দিন ও স্থানে বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিমের ‘ডানহাত’ বলে পরিচিত কিম ইয়ং চোলের সঙ্গে বৈঠকের পর শুক্রবার সাংবাদিকদের এই কথা জানান ট্রাম্প।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৮ দিন আগে অর্থাৎ গত ২৪ মে উনের সঙ্গে বৈঠকটি বাতিলের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে উত্তর কোরিয়াসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব হতাশা প্রকাশ করে। এরপর নির্ধারিত দিনেই সিঙ্গাপুরে কিমের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলে গত ২৫ মে নতুন করে ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। ২৬ মে আকস্মিক বৈঠক করেন উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা। এরপর গত ২৭ মে সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, সম্ভবত এই বৈঠক খুবই সফল আর চুড়ান্তভাবে সফল প্রক্রিয়া হতে যাচ্ছে।’ ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করেন সব বিরোধ মেটাতে বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘আমি খোলাখুলিভাবে বলছি, আপনারা সময় নিন।’
এর আগে উত্তর কোরিয়ার দূত জেনারেল কিম ইয়ং চোলে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে উপস্থিত হয়ে ট্রাম্পের কাছে কিমের একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। এরপরই ১২ জুন বৈঠকের বিষয়ে ইতিবাচক ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি ওই চিঠিকে ‘অত্যন্ত আকর্ষণীয়’ বলে মন্তব্য করেন। যদিও পরে তিনি জানান, তিনি এখনও চিঠিটি খুলে দেখেননি।
পরে কিমের বিশেষ দূত চোলির সঙ্গে দীর্ঘ ৯০ মিনিট ধরে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি এ বৈঠকে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এটি একটি দারুণ সূচনা’।
প্রসঙ্গত, চোলি হলেন উত্তর কোরিয়ার প্রথম কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা যিনি গত ১৮ বছরের মধ্যে হোয়াইট হাউস সফর করলেন। তাকে ‘উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে’ উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ