খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: কারাগারে বন্দিদের ইফতার ও দুপুরের শুকনো খাবারের বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের কারা শাখা থেকে ভিন্ন দুটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশনার ফলে দেশের সব কারাগারে ৮৩ হাজার ৩১ জন বন্দিসহ নতুন কারাবন্দিরা অতিরিক্ত খাদ্য সহায়তা পাবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে বন্দিদের ইফতারের জন্য বরাদ্দ আছে মাত্র ১৫ টাকা যা ১০ আগে নির্ধারণ করা হয়। ১০ বছর আগে ইফতারের জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র ৭ টাকা। এ বরাদ্দ থেকে ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৫ টাকা করা হয়। এবং একইসঙ্গে ঘোষণা করা হয় বন্দিদের ইফতার সরবরাহের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ৭ টাকা হতে ১৫ টাকায় উন্নীত করা হলো এবং এ আদেশ ১০ বছর কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। সে মোতাবেক ১০ বছর ধরে বন্দিদের জন্য ইফতারির বরাদ্দ ছিল ১৫ টাকা। যা ইতোমধ্যে ১০ বছর শেষ হচ্ছে। নতুন নির্দেশনা মোতাবেক বন্দিদের ইফতারির জন্য বরাদ্দ ধার্য করা হয়েছে ৩০ টাকা। এ জন্য ৮৩ হাজার ৩১ জন বন্দির রমজান মাসে খরচ হবে ৭ কোটি ৪৭ লাখ ২৭ হাজার ৯০০ টাকা; যা আগে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা। এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অপর এক নির্দেশনায় বলা হয়, দুপুরের শুকনো খাবারের বরাদ্দ বৃদ্ধি করছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ জুলাইয়ের ওই প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে, বন্দিদের দুপুরের শুকনো খাবার জন্য বরাদ্দ আছে ৩ টাকা ৬০ পয়সা যা বাড়িয়ে ৩০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে দুপুরের খাবার হিসাবে ৩ টাকার ৬০ পয়সা মধ্যে শুকনো খাবার যেমন চিঁড়া ৪৬.৪২ গ্রাম এবং গুড় ১৪.৫৮ গ্রাম সরবারহ করা হয়। এসব বন্দির অনেক সময় রাত্রি ৯-১০টার মধ্যে আদালত থেকে কারাগারে ফেরত
পাঠানো হয়। কারাগারের রাতের খাবার সাধারণত সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কারা গমনকারী পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের খাবার প্রত্যাশা করেন কারাবন্দিরা। এতে কারাগারের শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি খাবারের সঙ্গে মাদক ও অবৈধ দ্রব্যাদি কারাগারে প্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়। এসব কথা চিন্তা করে কারাগারে গমনকারী বন্দিদের জন্য চিঁড়া ও গুড় কেনা বাবদ যে ৩ টাকা ৬০ পয়সা দেওয়া হতো তা বাড়িয়ে ৩০ টাকা বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠিয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।