খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: জেলা শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলি এলাকার একটি বাসা থেকে সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের এক শিক্ষিকা ও সোনালি ব্যাংক প্রিন্সিপাল শাখার অডিট কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রোববার রাতে ওই এলাকার দুই তলা ভবনের নিচতলা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। তারা পাশাপাশি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গেছে।
নিহত ওই কলেজ শিক্ষিকার নাম সাজিয়া বেগম। তিনি সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুই ছেলেকে নিয়ে এই ভবনে থাকতেন তিনি। তার স্বামী ঢাকায় ব্যবসা করেন। তাদের বাড়ি রাজধানীর সূত্রাপুর থানার বানিয়া নগর এলাকায়। ব্যাংক কর্মকর্তার নাম ফারুক হাসান। তার বাড়ি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে।
নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি এফএম নাসিম জানান, বাড়ির মালিক পুলিশে খবর দিলে আমরা এসে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করি। শিক্ষিকার মরদেহ দরজার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় এবং ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানিয়েছেন ওসি।
ওই বাড়ির মালিকের ছেলে ডেবিড বলেন, রোববার রাজেন্দ্র কলেজের অভিষেক অনুষ্ঠানের কনসার্ট ছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে কনসার্ট শেষে বাড়ি ফিরে নিচ তলার ওই ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পাই। দরজার ফাঁকা দিয়ে দেখতে পাই ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ ঝুলছে। আমি সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে খবর দিই। তারা এসে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে।
ডেবিড আরও জানান, নিহত কলেজ শিক্ষিকা এক বছর আগে এই বাসা ভাড়া নেন। আর ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক এক মাস আগে ভাড়া নেন। তবে ফারুক বাসা ভাড়া নিলেও তিনি থাকতেন না। দুই দিন আগে তিনি বাসায় এসে উঠেছেন।
সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুলতান মাহামুদ বলেন, গতকাল ম্যাডাম (সাজিয়া) কলেজে গিয়েছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি কলেজ থেকে বাড়ির জন্য বের হয়ে যান। এর পর রাতে জানতে পারলাম ম্যাডামকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে থানায় যাই। ঠিক তখনই বাড়ির মালিকের ছেলে থানায় গিয়ে পাশের ফ্লাটে মরদেহ ঝুলে থাকার খবর দেয়। সেই মরদেহ উদ্ধার করতে এসে পুলিশ ম্যাডামের মরদেহও উদ্ধার করে। নিহত কলেজ শিক্ষিকার স্বামী শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, ৪টার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথা হয়। তখন সে জানায় বাসায় আসছে। এরপর রাত হয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি, তার সহকর্মীদের জানাই। পরে থানায় জানাই।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ