খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: যশোর সদর উপজেলার সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মুন্সি আনিচুর রহমানসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তা এবং এক কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।এই চারজনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এক কলেজছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। অবশ্য পুলিশ বলছে, নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়নি। প্রশাসনিক কারণে গত রোববার রাতে তাঁদের যশোর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এসআই আনিচুর ছাড়া প্রত্যাহার হওয়া অপর তিনজন হলেন ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাজদার রহমান ও সুমরেশ কুমার সাহা এবং কনস্টেবল মো. ফারুক হোসেন।
৩ জুন সন্ধ্যায় ইমরান হোসেন (২৩) নামের এক কলেজছাত্রকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে ধাওয়া করে গাঁজাসহ আটকের পর নির্যাতন এবং পরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। ইমরান যশোর সদর উপজেলার শাহাবাজপুর গ্রামের নেছার আলীর ছেলে। তিনি যশোর সদর উপজেলার কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
বিষয়টি তদন্তের জন্য ৯ জুন পুলিশ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে কমিটি গতকাল সোমবার প্রতিবেদন জমা দেয়। পুলিশ বলছে, তদন্ত প্রতিবেদনে কলেজছাত্র ইমরানকে নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগেই রোববার রাতে ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তা এবং এক কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হলো।
যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, তদন্তে কলেজছাত্র ইমরানকে নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাঁকে ধরতেই পারেনি। ইমরান মাদকাসক্ত। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আগে থেকেই তাঁর কিডনির সমস্যা ছিল।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনার দিন এসআই মুন্সি আনিচুর রহমান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ফাঁড়ির বাইরে ছিলেন। তা ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই তাঁরা সাদাপোশাকে সড়কে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছিলেন। এসব কারণে তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে তাঁদের ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।খবর২৪/এবি