নিজস্ব প্রতিবেদক :
কর্মস্থলে না এসেও নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন তোলার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ২৮ থেকে ৩০ জন সুইপারের বিরুদ্ধে। জাতীয় বেতন স্কেলে নিয়োগ পাওয়া ৪২ জনের মধ্যে কাজে আসেন মাত্র ১০ থেকে ১২ জন। বাকিরা কাজে না এসেই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন তোলেন। এ নিয়ে নিয়মিত কাজ করা সুইপারদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে গত বুধবার সকালে স্টেশন চত্বরে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তারপর বিষয়টি জনসম্মুখে চলে আসে। সূত্র জানায়, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সুইপারদের দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন পশ্চিম রেলওয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ।
তাদের দেখভালে একাধিক পরিদর্শক রয়েছেন। হাজিরা খাতাও থাকে তাদের কাছে। অনুপস্থিত সুইপারদের বেতনের একটি অংশ যায় এসব পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু ব্যক্তির পকেটে। সম্প্রতি কাজের চাপে অতিষ্ঠ সুইপাররা ধর্মঘটে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। বুধবার সকালে স্টেশন চত্বরে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তারা সব সুইপারের হাজিরা নিশ্চিত করার দাবি জানান। কর্মবিরতির কারণে বুধবার সকাল ৭টা থেকে সকাল বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতার কাজ বন্ধ ছিল। কাজ না করায় স্টেশনের বিভিন্ন স্থানে ময়লার স্তপ জমে যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তারা অনুপস্থিত সুইপারদের কাজে যোগ দেওয়ার আহবান জানায়। রেলওয়ে স্টেশনে কাজ করা সুইপারদের সাথে কথা হলে তারা জানান, স্টেশনে দৈনিক আটটি আন্তঃনগরসহ ১৭টি ট্রেন আসা-যাওয়া করে। স্টেশন চত্বরটি ময়লা আবর্জনায় ভরে ওঠে। এগুলো পরিষ্কারের জন্য পালা করে ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। স্টেশন চত্বর, স্টেশন ভবন ছাড়াও ট্রেনের বগি পরিষ্কারের জন্য ৪২ জন সুইপার নিযুক্ত রয়েছে। অথচ দিনে মাত্র ১০-১২ জন সুইপার কাজ করেন। বাকিরা দিনের পর দিন অনুপস্থিত। তারপরও বেতন ভাতা তুলছে।
সূত্র আরো জানায়, স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে নিয়োজিত সুইপারদের হাজিরা খাতাও থাকে পরিদর্শকদের কাছে। বেতনের একটি অংশ পরিদর্শকদের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে কাজ না করা সুইপারদের বিরুদ্ধে। পশ্চিম রেলওয়ের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মারেফুল ইসলামের বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।