স্পোর্টস ডেস্ক: জুভেন্টাসের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হলেন ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা। সেই সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন তার সঙ্গিনী ওরিয়ানা সাবাতিনও।
গত সপ্তাহে দিবালার দেহে করোনার উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। সেই থেকে নিজ বাড়িতে সেলফ আইসোলেশনে আছেন এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার।
এক টুইটে দিবালা লেখেন, ‘আমি আপনাদের জানাতে চাই যে আমরা কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল হাতে পেয়েছি। আমি এবং ওরিয়ানা (দিবালার সঙ্গিনী) দুজনেই পরীক্ষায় পজিটিভ।’
তবে করোনা আক্রান্ত হলেও ভক্তদের আশ্বস্ত করে তিনি লেখেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে আমরা একদম পারফেক্ট অবস্থায় আছে। আপনাদের ম্যাসেজের জন্য ধন্যবাদ।’
দানিয়েল রুগানি ও ব্লেইস মাদুইদির পর জুভেন্টাসের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেন দিবালা।
চলতি মাসের প্রথম দিকে কোভিড১৯ পজিটিভ হন রুগানি। এরপর থেকে পুরো জুভেন্টাস স্কোয়াডের জন্য কোয়ারেন্টাইন চালু করা হয় এবং সবাইকে সেলফ-আইসোলেশনে রাখা হয়।
এদিকে গত মঙ্গলবার ফরাসি মিডফিল্ডার মাতুইদির দেহেও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। যদিও তার দেহে কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মহামারী আকার ধারণ করায় পুরো বিশ্বের মতো থমকে গেছে ইতালির ফুটবল। জমজমাট সিরি আ’র লড়াই আবার কবে ফিরবে সেটাও এখন অনিশ্চিত।
যেহেতু ফের মাঠের লড়াই ফিরতে দেরি হবে তাই পুরো দেশ লকডাউন থাকা সত্ত্বেও খেলোয়াড়দের ইতালি ছেড়ে নিজ নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দিয়েছে জুভেন্টাস। যাতে এই কঠিন সময়ে পরিবারের পাশে থাকতে পারেন ফুটবলাররা।
সর্বশেষ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডগলাস কস্তাকে নিজ দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগেই পর্তুগালের মাদেইরাতে ফিরে গেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এরপর গঞ্জালো হিগুয়েন, মিরালেম জেনিক এবং সামি খেদিরাকে যথাক্রমে আর্জেন্টিনা, লুক্সেমবার্গ এবং জার্মানিতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
করোনা মহামারীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়া দেশের মধ্যে ইতালি অন্যতম। এরইমধ্যে দেশটিতে ৪ হাজার ৮২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চীনের চেয়েও বেশি। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৫৭৮।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ২০১৯ সালের শেষ দিকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে বিশ্বের ১৮৬ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৭৭৩ জনের। এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩ লাখের কাছাকাছি মানুষ।
খবর২৪ঘন্টা/নই