1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে আবার যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে আবার যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১

করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে দৃশ্যত আবার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়টি আবার পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের উৎস কোথায় তা অনুসন্ধানের তাগিদ দিয়েছেন। একই রকম মন্তব্য করেছেন তার শীর্ষ মহামারি বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি। কিন্তু কোভিড-১৯ এর উৎস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুলেছে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনের দূতাবাস। বলা হচ্ছে, এ ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার ফলে তদন্ত বিঘ্নিত হবে। অন্যদিকে ড. অ্যান্থনি ফাউচির বিরুদ্ধে নৈতিক অবক্ষয়ের অভিযোগ তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া গ্লোবাল টাইমস। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বুধবার চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে।

তাতে বলা হয়েছে, কিছু রাজনৈতিক শক্তি রাজনৈতিক কারসাজি এবং ব্লেম গেম স্থির করেছে। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের উৎস কি বা কোথায় তা দ্বিতীয় দফায় তদন্তের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ সময়ে অভিযোগ জোরালো হয়েছে যে, চীনের উহান সিটির ইনস্টিটিউটট অব ভাইরোলজি থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তদন্তকারীদেরকে অধিক সুবিধা দেয়ার জন্য চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে চীনের ওপর। বার বার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে চীন। তারা বলছে, করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নিজেদের ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য কিছু দেশ। এর প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, করোনা ভাইরাস পশুর দেহ থেকে মানবদেহে নাকি গবেষণাগার থেকে দুর্ঘটনাবশত

মানব শরীরে প্রবেশ করেছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিভক্ত। তাই তদন্ত প্রয়োজন।
ওয়াশিংটনে কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স-এর বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ইয়ানঝোং হুয়াং বলেছেন, গবেষণাগার থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার যে ধারণা তার জন্য চীনই দায়ী। কারণ, সব কিছু খোলামেলা করার ক্ষেত্রে ঘাটতি আছে চীনের। এটা একটা বড় ফ্যাক্টর। তিনি বলেন, এই হাইপোথিসিস প্রমাণ করার বাস্তবে আসলে কিছু নেই। এই মহামারির উৎস সন্ধানের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং বাস্তবসম্মত বিষয় হলো স্বচ্ছতা গড়ে তোলা, যাতে আস্থা বৃদ্ধি পায় তদন্তে।

এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে। চীনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পিপলস ডেইলি সংবাদপত্র গ্রুপের অংশ দ্য গ্লোবাল টাইমস এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে আছে। তারা বুধবার শেষের দিকে বলেছে, যদি গবেষণাগার থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্বের ওপর আরো তদন্ত করতে হয়, তাহলে ফোর্ট ডেট্রিক গবেষণাগারসহ নিজেদের সব প্রতিষ্ঠানে তদন্ত করতে দেয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের।
নিরপেক্ষ তদন্তের বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো জেমি মেটজল। তিনি বলেছেন, চীন সুস্পষ্টত এ বিষয়টিকে আন্তর্জাতিকীকরণের চেষ্টা করছে। এর আগে মার্চে চীন-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি যৌথ রিপোর্ট প্রকাশ হয়। তাতে বলা হয়, গবেষণাগার

থেকে সার্স-কোভ-২ ভাইরাস লিক বা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা খুবই কম। উপরন্তু এই ভাইরাস বাঁদুর থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে থাকার সম্ভাবনা বেশি। ওদিকে অন্য দেশ করোনা ভাইরাসের উৎস হতে পারে বলে অব্যাহতভাবে ইঙ্গিত করে যাচ্ছে চীন। তারা দাবি করেছে, ফ্রোজেন ফুড বা হিমায়িত খাবারের মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে। জেমি মেটজল বলেন, এই করোনা মহামারি চীন থেকেই শুরু হয়েছে। তাই সেখানে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দরকার। প্রয়োজন হলে সেই তদন্ত প্রসারিত করা যেতে পারে। তার মধ্যে চীনা দূতাবাসের বিবৃতি প্রতিজন মানুষ, যারা এই ভয়াবহ ট্রাজেডিতে মারা গেছেন এবং তাদের পরিবারের জন্য অবমাননার।

জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST