1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
করোনা প্রতিরোধে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন

করোনা প্রতিরোধে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

খবর২৪ঘণ্টা নিউজ ডেস্ক: চীনে ভয়াবহ আকার ধারণ করা সংক্রামক ব্যাধি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তার আশা, এই ভাইরাস বাংলাদেশে আসবে না।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া যায়নি। করোনাভাইরাস যাতে দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিক বিবেচনা করে সব ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মধ্য চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। এ ভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত।

নভেল করোনাভাইরাসের কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে গত দেড় মাসে চীনে ১১ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার।

মহামারি আকার ধারণ করা এই ভাইরাস চীনের বাইরেও ছড়িয়েছে। প্রায় ২৭টির মতো দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এমন অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের এ প্রাদুর্ভাবকে ‘বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও করোনাভাইরাস নিয়ে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে করোনাভাইরাস নিয়ে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন করোনাভাইরাস চায়নাতে একটা মহামারি আকারে ছড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যে এক হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে এবং সংক্রমিত হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজারের বেশি। আমরা আনন্দের সঙ্গে এটুকু বলতে পারি যে, বাংলাদেশে এখনো কোনো করোনাভাইরাসের রোগী আমরা পাইনি। করোনাভাইরাস যাতে দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিক বিবেচনা করে আমরা সব ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি। ঢাকায় তিনটি হাসপাতালকে আমরা তৈরি রেখেছি যেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রয়েছে। ডাক্তার নার্সদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রিটমেন্ট প্রটোকলও ব্যবস্থা করা হয়েছে একটি বুকলেটের মাধ্যমে। এই বুকলেটটি সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে ২০ বেডের একটি আইসিইউ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আরও প্রায় ২০০ বেড রাখা হয়েছে একই হাসপাতালে। পুরো কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী যদি আসে তাদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকল হাসপাতালেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ডেডিকেট করা হয়েছে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালকে। আমরা আশা করি এই রোগ আমাদের দেশে আসবে না।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে এয়ারপোর্ট, ল্যান্ডপোর্টে স্কিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেগুলোকে দিন দিন আরও জোরদার করা হচ্ছে।’

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর উহান থেকে যে ৩১২ জনকে দেশে আনা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে তাদের নিয়েও কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘উহান প্রদেশ থেকে যে ৩১২ জন এসেছিল তাদের আশকোনা হজক্যাম্পে রাখা হয়েছে। ১৪-১৫ তারিখে তাদের রিলিজ করে দেয়া হবে। কারণ তাদের আইসোলেশন মেয়াদ তখন শেষ হবে। তবে খুশির বিষয় হলো সেখানে আমরা এখনো কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্তকে পাইনি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST