খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর অর্ধেকের বেশি হচ্ছে রাজধানী ঢাকা শহরে। গত এক সপ্তাহে শহরটির সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে রয়েছে কাকরাইলের নাম। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট(আইইডিসিআর) এমন তথ্য দিয়েছে।
দেশে এখন পর্যন্ত বৈশ্বিক মহামারী করোনায় ১৭৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। যার মধ্যে প্রায় দুই কোটি জনসংখ্যার শহর ঢাকাতেই ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যেটা মোট মৃত্যুর ৫৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।
সারা দেশে এখন পর্যন্ত আট হাজার ৭৯০ জন কোভিড-১৯ রোগে সংক্রমিত হয়েছেন। ঢাকা শহরে আক্রান্ত হন ৪ হাজার ৩০৯ জন। দেশের মোট রোগীর ৫৬ দশমিক শূন্য দুই শতাংশই ঢাকায়।
রাজধানীতে এখনো এককভাবে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী রাজারবাগ এলাকার। এ এলাকার ১৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরেই রয়েছে কাকরাইল এলাকা। এ এলাকায় এখন পর্যন্ত ১৫০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। অথচ গত ২৪ এপ্রিল সেখানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২৭ জন।
ঢাকার সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী রয়েছেন পুরান ঢাকা এলাকার। এখানে পাঁচ শতাধিক রোগী রয়েছে। পুরান ঢাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী রয়েছে লালবাগে।
ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় ৭৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি বংশালে ৫৮, চকবজারে ৩২, গেন্ডারিয়ায় ৪৮, মিটফোর্ডে ৩৮, ওয়ারিতে ৪২, চানখাঁরপুলে ৩১ জন করোনা রোগী রয়েছেন।
বৃহত্তর মিরপুর এলাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত এ এলাকায় দুই শতাধিক করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে।
মিরপুর-১ নম্বরে ৩২, ২ নম্বরে দুজন, ৬ নম্বরে ৯জন, ১০ নম্বরে ১৮ জন, ১১ নম্বরে ৩২ জন, ১২ নম্বরে ১৮ জন, ১৩ নম্বরে ৩ জন এবং ১৪ নম্বরে ৩৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া যাত্রাবাড়ীতে ১০১ জন, বাড্ডায় ৪১, বাসাবোতে ৩৪, ধানমন্ডিতে ৩৮, হাজারীবাগে ৩৮, খিলগাঁওয়ে ৩৯, মালিবাগে ৬২, গুলশানে ৩২, মগবাজারে ৪৩, জুরাইনে ৩২, মহাখালীতে ৭১, মোহাম্মদপুরে ৮১, মুগদা ৮০, পুরানা পল্টনে ২৭, পল্টনে ২৯, শাহবাগে ৫১, শ্যামলীতে ২৯, তেজগাঁও ৫৫, স্বামীবাগে ৩৬ ও উত্তরায় ৬৩ জনসহ প্রায় সব এলাকাতেই করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে।
আক্রান্ত ও মৃত্যুতে ঢাকা শহরের পরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। জেলাটিতে এখন পর্যন্ত ৯৮৭ জনের দেহে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৯ জন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।
খবর২৪ঘন্টা/নই
খবর২৪ঘন্টা/নই