1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
করোনায় কতটা স্থবির বাংলাদেশ, গুগল কী বলছে - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন

করোনায় কতটা স্থবির বাংলাদেশ, গুগল কী বলছে

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বই এখন থমকে গেছে। জনজীবনেও নেমেছে স্থবিরতা। করোনা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দেশগুলো। সবকিছু বন্ধ করে মানুষকে বাসায় থাকতে বলা হচ্ছে। সবমিলিয়ে কার্যত লকডাউনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো।

কেমন চলছে এসব লকডাউন? কতটা পরিবর্তন এসেছে জনজীবনে? সেই তথ্যই তুলে ধরেছে প্রযুক্তি বিশ্বের জায়ান্টখ্যাত গুগল। স্যাটেলাইট ম্যাপের সাহায্য নিয়ে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গুগলের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কারেন ডিসালভো তার ব্লগে ‘কমিউনিটি মোবিলিটি রিপোর্টস’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহের প্রবণতা আমরা দেখেছি। তাতে দেখানো হয়েছে, কত শতাংশ মানুষের যাতায়াত কমেছে বা বেড়েছে। তবে সঠিক সংখ্যাটা জানানো হবে না।’

করোনার কারণে থমকে যাওয়া জীবনে কমেছে মানুষের গতিবিধি। হোটেল-রেস্তোরাঁ, বিনোদন কেন্দ্র, মুদিখানা বা ওষুধের দোকান, পরিবহনের টার্মিনাল, কর্মক্ষেত্র এবং পার্কে মানুষের যাতায়াত কেমন কমেছে, সেই তথ্যই উঠে এসেছে গুগলের প্রতিবেদনে। এসব স্থানে মানুষের যাতায়াত সীমিত হয়ে আসার বিপরীতে বেড়েছে বাড়িতে থাকার প্রবণতা। করোনা ঠেকাতে এমন পরামর্শই দিয়ে আসছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

১৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত সময়ে বিশ্বের ১৩১টি দেশের মানুষের গতিবিধির পরিসংখ্যান দিয়েছে গুগল। তবে ইরান এবং চীনে যেহেতু গুগল নিষিদ্ধ, তাই ওই দু’দেশের তথ্য পাওয়া যায়নি।

গুগলের পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের হোটেল-রেস্তোরাঁয় ও বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের সমাগম আগের তুলনায় ৬৮ শতাংশ কমেছে। মুদিখানা ও ওষুধের দোকানে যাতায়াত কমেছে ৪৬ শতাংশ মানুষের। আগের তুলনায় পার্ক ভ্রমণ পিয়াসী কমেছে ২৬ শতাংশ। পরিবহন তথা বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ নগরীর পরিবহন সেবা বন্ধ থাকায় ট্রানজিট স্টেশনে কমেছে ৬৬ শতাংশ মানুষের আনাগোনা। কর্মক্ষেত্রগুলোও বন্ধ। প্রতিবেদনে সেই তথ্যও উঠে এসেছে। গুগল বলছে জরিপের সময়সীমা হিসেবে বেছে নেওয়া ১৪ দিনে অফিসে যাচ্ছে না ৬০ শতাংশ মানুষ। তবে আগের তুলনায় বাসায় থাকার প্রবণতা বেড়েছে ২৪ শতাংশ।

তবে গুগল বলেছে, এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। এই তথ্যের সাহায্যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি বোঝা সহজ হবে। পাশাপাশি কোন এলাকায় মানুষের যাতায়াত বেশি, সেটা বিশ্লেষণ করে তাদের প্রয়োজনীয়তা বুঝতেও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে সাহায্য করবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। আক্রান্তের সংখ্যাও বিপুল। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, লকডাউনের প্রভাবও সবচেয়ে বেশি সেই ইতালিতেই। গুগলের হিসেবে বিনোদন ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় মানুষের যাতায়াত কমেছে ৯৪ শতাংশ। একইভাবে মুদি ও ওষুধের দোকানে ৮৫ শতাংশ, পার্কে ৯০ শতাংশ, কর্মক্ষেত্রে ৬৩ শতাংশ কমেছে। গণপরিবহণ, যেমন বাস, ট্রেন, মেট্রোর টার্মিনালগুলোতে মানুষের যাতায়াত কমেছে ৮৭ শতাংশ। উল্টোদিকে বাড়িতে থাকার হার বেড়েছে ২৪ শতাংশ। মৃত্যু-হারে ইটালির পরেই রয়েছে স্পেন। সেখানকার পরিসংখ্যানও ইটালির কাছাকাছি। কোথাও সামান্য বেশি, কোনও ক্ষেত্রে কিছুটা কম।

বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়ানক আকার নিয়েছে আমেরিকায়। ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, আগেভাগে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই এত ব্যাপক হারে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। গুগলের দেওয়া গতিশীলতার পরিসংখ্যানেও উঠে এসেছে সেই ছবিই। দেখা যাচ্ছে, ইতালি স্পেনে যেখানে বিনোদন কেন্দ্র, হোটেল-রেস্তোরাঁয় যাতায়াত কমেছে ৯০ শতাংশেরও বেশি, সেখানে আমেরিকায় কমেছে মাত্র ৪৭ শতাংশ। মুদি, ওষুধের দোকান, পার্ক, গণ পরিবহণ, সব ক্ষেত্রেই একই চিত্র। সব ক্ষেত্রেই ইতালি-স্পেনের অর্ধেকের মতো পরিসংখ্যান। যেমন বাড়িতে থাকার প্রবণতা বেড়েছে ১২ শতাংশ। ইতালি, স্পেনের ক্ষেত্রে সেটা যথাক্রমে ২৪ ও ২২%।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইইডিসিআরের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যাও অনেক।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team