নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় মহামারী প্রাণঘাতী করোনার ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যস্ত প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন প্রচার প্রচারণা ও জনসমাগম ঠেকাতে প্রতিনিয়ত নিরলস কাজ করে যাচ্ছে । সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে মাদক কারবারী ও মাদকের রমরমা বাণিজ্য । উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৌশলে দিনরাত চষে বেড়াচ্ছে মাদক কারবারীরা। বিনা বাধায় তারা তাদের মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানের উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের এ কাজে সম্পৃক্ত রয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে উপজেলার প্রায় শ’তাধিক পয়েন্টে মাদক কারবারিরা ইয়াবা, হিরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বেচাকেনা চলছে প্রতিনিয়ত এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে কাজকর্ম না থাকায় বিশেষ জরে উঠতি বয়সের তরুনরা মাদকের নেশায় ঘোর হয়ে আকৃষ্ট হচ্ছে দিনিদিন।উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার হাটবাজার এলাকায় এসব মাদক কারবারিদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। এসব এলাকায় দিনরাতে চলে মাদকের বেচাকেনা। উপজেলা সদরের কান্দ্রা গুচ্ছগ্রাম, ফকিরপাড়া মোড়, বানেশ্বর হাট ও তার আশেপাশের এলাকা, ঝলমালিয়া হাট, সেনভাগ, ধোপাপাড়া, নওপাড়া আদিবাসী পল্লী, বাঁশবাড়িয়া, ধোকড়াকুল, পশ্চিমভাগ, কার্তিকপাড়া, নন্দনপুর ভাল্লুকগাছি বিরালদহসহ একাধিক পয়েন্টে মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবীদের অবাদে বিচরণ করতে দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাস পাদুর্ভাবে লোকবলের কারনে নিয়মিত মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না। তবে যে সব এলাকায় অভিযোগ পাচ্ছি সেখানে আমরা অভিযান পরিচালনার করছি। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের আপোষ নই জিরো টলারেন্স বলেও জানান তিনি।
খবর২৪ঘন্টা/বিআর/নই