1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
করোনার ভয়াবহতা থেকে রক্ষায় তামাকজাত পণ্য নিষিদ্ধের দাবি এসিডির - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১২:২৮ অপরাহ্ন

করোনার ভয়াবহতা থেকে রক্ষায় তামাকজাত পণ্য নিষিদ্ধের দাবি এসিডির

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) এর ভয়াবহতা থেকে দেশের তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে সবাইকে রক্ষায় সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য সাময়িক নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা ‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মে) বিকালে সংস্থাটির তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা কেন্দ্র (আইইডিসিআর) এর ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য মতে- বাংলাদেশে নারীর চেয়ে পুরুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেশি। বর্তমানে দেশে ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ নারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। অর্থাৎ নারীর চেয়ে পুরুষ দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি করোনায় আক্রান্ত। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণ বলছে, ২১-৩০ বছর বয়সীদের করোনা শনাক্ত বেশি হচ্ছে। এ জনগোষ্ঠীর ২৬ শতাংশই করোনা আক্রান্ত। তবে বৃদ্ধদের আক্রান্ত সংখ্যা কম হলেও মৃত্যু বেশি ঘটছে। ৬০ বছরের ওপরে জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর হার ৪২ শতাংশ। তবে বেশির ভাগ মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে অন্যান্য একটি শারীরিক জটিলতা যেমন ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ ইত্যাদি ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে করোনায় নারীর চেয়ে পুরুষ দুই-তৃতীয়াংশ বেশি আক্রান্ত কিংবা তরুণ-যুবারা করোনায় বেশি আক্রান্ত প্রধান কারণ হচ্ছে ধূমপান। কেননা ‘গেøাবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাট্স) ২০১৭’ এর ফলাফল অনুযায়ী ‘বাংলাদেশে ৩৫.৩ শতাংশ অর্থাৎ ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক (১৫ বছর এবং তদূর্ধ্ব) মানুষ তামাক সেবন করে। নারীদের মধ্যে এই হার ২৫.২ শতাংশ এবং পুরুষদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ।’ তাই সহজেই অনুমান করা যায়, তামাক সেবনের ফলেই তরুণ প্রজন্ম কিংবা নারীর চেয়ে পুরুষ করোনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
এসিডি প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাককে কোভিড-১৯ সংক্রমণ সহায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার কথা বলছে। ধূমপানের কারণে শ্বাসতন্ত্রের নানাবিধ সংক্রমণ এবং শ্বাসজনিত রোগ তীব্র হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ধূমপায়ীর মৃত্যুঝুঁকিও ১৪ গুণ বেশি। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাময়িকভাবে সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু করোনার এই ভয়াবহ সময়ে বাংলাদেশে তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও বিপণনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে গত ৩ ও ৫ এপ্রিল শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে দেশের সকল বিভাগীয় কমিশনার ও

জেলা প্রশাসককে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তারপর থেকেই দেশের তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু তারপরও তামাকের বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ‘মৃত্যুর বিপণন’ অব্যাহত রয়েছে। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে ধূমপানের ফলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে উল্লেখ করে ধূমপায়ীদের ধূমপান ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তামাক কোম্পানিগুলোকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দেয়া তামাক পাতা সংগ্রহ, তামাকপণ্য উৎপাদন ও বিপণনের প্রদত্ত অনুমতি প্রত্যাহারসহ সকল তামাক কোম্পানির উৎপাদন-সরবরাহ- বিপণন ও তামাকপাতা ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৮ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালরে অধিনস্ত জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের (এনটিসিসি) সমন্বয়ক ও যুগ্ম সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ স্বাক্ষতির এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
তাই বিজ্ঞপ্তিতে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে করোনাকালে সকল তামাকজাতপণ্য নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে এসিডি।

এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team