আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাসকে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার। এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস করে আলোচনায় আসা এডওয়ার্ড স্নোডেন।
বিশ্বের সব দেশের সরকারই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে শুরু থেকেই কমবেশি অবহিত ছিল। এসব দেশকে বারবার সতর্কও করে দেওয়া হয়েছিল। তবুও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে বেশিরভাগ সরকার।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ভাইস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্নোডেন বলেন, আমরা ইতিমধ্যে এক দূষিত বিশ্বে বাস করছি। এমন অবস্থায় মহামারি ছাড়া জনস্বাস্থ্যের সংকটের ব্যাপারে আর কিই বা বলার আছে। এই মহামারির ব্যাপারে গবেষক, গোয়েন্দারা জানতেন।
আধুনিক যুগে নাগরিক স্বাধীনতা বা গোপনীয়তা রক্ষার স্বাধীনতার বিষয়টি করোনাভাইরাসের সময়টাতে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। যদিও এ নিয়ে খুব মানুষকেই প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্নোডেন বলেন, বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ববাদের বিস্তার ঘটেছে। জরুরি আইন ডালপালা মেলেছে আরও। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের অধিকারগুলো বিসর্জন দিতে শুরু করেছি। উদার ও মুক্ত বিশ্ব গড়ার সামর্থ্যও হারিয়েছি আমরা। আপনি কি মনে করেন করোনাভাইরাসের সময় প্রয়োগ হওয়া ক্ষমতাগুলো সবাই ভুলে যাবে? এখন যা ঘটছে তার তথ্য রাখা হবে না? এখন এ বিষয়গুলো কীভাবে ঘটছে তা বিবেচ্য নয়। মূল কথা হলো করোনাভাইরাসের উছিলায় সরকারগুলো নির্যাতনের নতুন নতুন হাতিয়ার তৈরিতে ব্যস্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য ছিলেন স্নোডেন। তিনি গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র হয়েও কাজ করেছেন। দেশটির বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা খোদ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কীভাবে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখে তার তথ্য ফাঁস করে দেন স্নোডেন। সেটি ২০১২ সালের ঘটনা। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে। বর্তমানে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন স্নোডেন।
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।