রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া মডেল থানার সম্প্রতি বদলি হওয়া ওসি মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণ মামলা ধামাচাপা দেয়াসহ আরও বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজশাহী বিভাগীয় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে এসব অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ অফিসার ও সরকারি অফিসের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে এ কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, আইজিপির কাছে মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন রাজশাহীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। অভিযোগে তিনি বলেছেন, ‘তাকে ধর্ষণ করা হয়। তবে তিনি থানায় মামলা করলে তৎকালীন বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল মামলাটি ধাপাচাপা দেন। তাকে খারাপ ইঙ্গিতও করেন ওসি।
সভায় রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি বলেন, সম্প্রতি মাজহারুল ইসলাম বদলি হওয়ার আগে বোয়ালিয়া থানা পরিদর্শনে যান আরএমপি কমিশনারসহ আরো বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। ওইদিন ১২ রকমের মাছ এবং গরু, খাসি ও হাঁসের মাংসের ব্যবস্থা করেন ওসি। খুলনা থেকেই তিন রকমের মাছ নিয়ে আসেন। অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীদের টাকায় এসব খাবারের ব্যবস্থা করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি বদলি হওয়া বিকর্কীত ওসি মাজহারুল ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতি করে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছে। সভায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান ।
সাইদুর রহমানের ভাষ্য, মাজহারুল ইসলাম রাজপাড়া থানার ওসি থাকাকালীন নগরীর দাশপুকুর এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। ২০২১ সালের ৩০ জুন ওই দুই খুনের ঘটনায় একজন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এসব ঘটনায় মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান রাজশাহীর সিনিয়র এক সাংবাদিক।
এর আগে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের সঙ্গে গোপন বৈঠক ও ভাষাসৈনিকপুত্রকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টার অভিযোগসহ নানা তথ্য বেরিয়ে আসে মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তরের এক আদেশে তাকে আরএমপি থেকে রংপুরে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।
বিএ/