খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: প্রয়াত আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে সৌদি আরব। শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার নাগরিকত্ব বাতিল করে ফরমান জারি করেছে। সৌদি আরবের সরকারি পত্রিকা ‘উম আল কারা’-তে ফরমানটি প্রকাশ করা হয়েছে।
হামজা সম্পর্কে তথ্য দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণার পরই তার নাগরিকত্ব বাতিল করল সৌদি আরব।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, হামজা বিন লাদেন বর্তমানে জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদার একজন উদীয়মান গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু অডিও এবং ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন হামজা। এসব অডিও এবং ভিডিও বার্তায় তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোতে হামলা চালাতে সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ঘোষণায় বলা হয়- হামজা সম্পর্কে যেকোনো তথ্য দিতে পারলেই পুরস্কৃত করা হবে।
২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর হাতে নিহত হন ওসামা বিন লাদেন। তার নেতৃত্বেই ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলা চালানো হয়। এতে প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।
ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর অ্যাবোটাবাদ কম্পাউন্ড থেকে তার যেসব চিঠিপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল, সেগুলো থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছিল যে হামজা বিন লাদেনকে তার পিতা ওসামা বিন লাদেন উত্তরসূরি হিসেব তৈরি করছিলেন এবং ওসামা বিন লাদেনের পর আল কায়েদার নেতা হিসেবে তাকেই ভাবা হচ্ছিল।
বর্তমানে হামজা বিন লাদেনের বয়স ৩০ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। দু’বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০১ সালে ছিনতাই করে যে চারটি বাণিজ্যিক বিমান দিয়ে টুইট টাওয়ারে হামলা চালানো হয়েছিল তার মধ্যে একটি ছিনতাই করেছিলেন মোহাম্মদ আত্তা। হামজা বিন লাদেন মোহাম্মদ আত্তার মেয়েকে বিয়ে করেছে বলে জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন