নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘বড়ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবের সঙ্গে আমার কিছুটা দূরত্ব হয়েছে, কী জন্য হয়েছে— কারণ তিনি এ এলাকার এমপি। তিনি এগুলোর সমাধান করতে পারতেন। সে জন্য কিছুটা দূরত্ব হয়েছে, তবে সেটিরও অবসান ঘটেছে।’
সোমবার বিকালে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের নিজের অনুসারীদের ঈদপরবর্তী চা-চক্র অনুষ্ঠানে কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।রাজনীতিতে এখন গুপ্ত হামলা চলছে উল্লেখ করে বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘কাল রাতও আমার কর্মী শিফনের দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে। গুটিকয়েক অপশক্তির উসকানিতে এসব হচ্ছে। রাজনীতি আগেও আমি চালিয়েছি, এখনও আমি চালাব।’
কাদের মির্জা বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত আমার সঙ্গে আছেন। তিনি আমাকে স্নেহ করেন, আমাকে আদর করেন, এখন পর্যন্ত চারবার আমার সঙ্গে কথা বলেছেন।
কাদের মির্জা প্রতিপক্ষদের হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, মিয়া চাঁনরা পাগল হয়ে গেছে। মিটিং করতে গেলে সেখানে ওরা মোটরসাইকেল নিয়ে গুলি করে চলে যায়। রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে দেয়। এটা কোন রাজনীতি, সাহস থাকলে সামনে এসে কর? এসব অপরাজনীতি বন্ধ কর, সোজা হয়ে যাও।
তিনি বলেন, আমি পুলিশ ও প্রশাসনের অনিয়ম ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করি। এ কারণে এখন পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় গুপ্ত হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটাচ্ছে। তারা টুবাঘর (গোলঘর) দিয়ে সালিশের নামে জনগণ থেকে টাকা আদায় করছে। আমি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব টুবাঘর বন্ধ করে দেব।
কাদের মির্জা বলেন, চিকিৎসার জন্য আমেরিকা যাব আগামী ৯ জুন। ১০ দিন পর দেশে ফিরে আসব। এসে চরের যেসব সম্পত্তি দখল করে রেখেছে, কোটি কোটি টাকা অস্ত্র কেনার জন্য দিচ্ছে, সে জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের হাতে তুলে দেব।
সভায় মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি (কাদের মির্জা ঘোষিত কমিটি) জসিম উদ্দিন বাবরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমেরিকা প্রবাসী আইয়ুব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাছের, মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক কমান্ডার, মো. ইউনুস, জামাল উদ্দিন, বসুরহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিল আবুল খায়ের, নুরনবী বাবুল প্রমুখ।
জেএন