নিজস্ব প্রতিবেদক : মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) আলমগীর কবিরের অনিয়ম থামছেই না। এবার তার বিরুদ্ধে এমপিওভুক্তির ৯১টি ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পেয়েছে।
মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের কলেজ শাখার ডিডি আলমগীর কবির টাকা ছাড়া ফাইল ছাড়েন না, এমন অভিযোগে অভিযান চালায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল।
এর আগে গত ১১ মার্চ একই অফিসে অভিযান চালিয়ে ডিডি আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল। এবার আরও ৯১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ মিলল।
দুদক জানিয়েছে, নতুন এমপিওভুক্তির জন্য সম্প্রতি ১৫২টি আবেদন পড়ে। এগুলো প্রথমে পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামানের কাছে দাখিল হয়। এরমধ্যে ত্রুটিপূর্ণ ৪৭টি ফাইল প্রথমেই বাতিল হয়। এরপর পরিচালক আছাদুজ্জামান ১০৫টি ফাইল সহকারী পরিচালক আলমাস উদ্দিনের কাছে পাঠান। আলমাস উদ্দিন এসব ফাইল দেখে ডিডি আলমগীর কবিরের কাছে পাঠিয়েছেন। কিন্তু আলমগীর কবির ৯২টি ফাইল আর পরিচালকের কাছে পাঠাননি। এই ফাইল পাঠানোর জন্য আর মাত্র দুই দিন সময় রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ফাইল আটকে রেখে ঘুষ আদায় করেন আলমগীর।
অভিযান চলাকালে অফিসে ছিলেন না ডিডি আলমগীর কবির। দুদকের দল পরিচালকের কাছ থেকেই এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য নেয়। আলমগীরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মাউশির রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল পাঠাতে বললেও ডিডি আলমগীর কবির নানা অযুহাতে সেটা করেন না। এর আগেও যখন তিনি ১৫১টি ফাইল আটকে রেখেছিলেন, তখন তিনি নিজে বার বার ডিডিকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি ফাইল ছাড়েননি। তার ব্যাপারে অনেক কথা শোনা যায়।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, ‘ডিডি আলমগীর কবির ঘুষের জন্য ফাইল আটকে রাখেন এমন অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। এবার ৯২টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠান হবে।’
বিএ.