খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: এবার সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে গিয়ে নির্যাতনের শিকার ৩৫ নারীকর্মী বাঁচার আঁকুতি জানিয়ে ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছে স্বজনদের কাছে। দেশে ফেরার জন্য প্রধানমন্ত্রীরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। এর আগে ভিডিও প্রকাশ করে আকুতি জানিয়ে দেশে ফিরেছেন পঞ্চগড়ের সুমী আক্তার। একইভাবে ভিডিও প্রকাশ করে আকুতি জানানো আরেক নারী হবিগঞ্জের হোসনা আক্তার আজ বুধবার রাতে দেশে ফিরেছেন।
ভিডিও বার্তায় কান্না জড়িত কণ্ঠে এসব বাংলাদেশী নারী বার বার তাদের উপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দেশে ফেরার আকুতি জানান। তারা বলেন, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সৌদি পুলিশের কাছে ধরা দেন তারা। বর্তমানে তারা সৌদি আরবের রিয়াদে ডিপোর্টেশন ক্যাম্পে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরীফুল হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩৫ নারীকর্মীর মধ্যে ১৩জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন-শাজেদা বেগম (Bk
0931799), খাদিজা বেগম (EA 0887781), দিলারা বেগম (EB 0433637), মোসা. মিটু (BH 0506372), হাজরা খাতুন (BN 0963692), শান্তি আক্তার(BW 0991618), জান্নাতি ফেরদৌসী (BT 0676584), আলো আক্তার (BE 0771677), শিরিনা আক্তার (BN 0910745), মনোয়ারা বেগম (AF 2652620), জুমুর বেগম (BM 0101573), শকিনা বেগম (BA 0093278), রুমা বেগম (BM 0202071)।
ভাগ্য অন্বেষনে সৌদি আরবে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারীকর্মীরা। গৃহকর্মী হিসেবে গিয়ে অনেকেই গৃহকর্তার যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নির্যাতনের শিকার অনেকেই দেশে ফিরে আসছেন। অনেকে দিনের পর দিন স্বজনদের কাছে আর্তি করেও ফিরতে পারছেন না। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেও দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও সৌদি আরবে থাকা নির্যাতিত স্বজনকে (কারো স্ত্রী, মেয়ে ও মা) ফেরাতে পারছেন না দেশে থাকা স্বজনরা। এমতাবস্থায় ভিডিও বার্তায় সরকারসহ বিভিন্ন
মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন নির্যাতিত গৃহকর্মীরা। সম্প্রতি নির্যাতনের শিকার পঞ্চগড়ের সুমী আক্তার সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় বাঁচার আকুতি জানান। যেটি ভাইরাল হয়। এরপর সরকারসহ বিভিন্ন মহলে দৃষ্টি আকর্ষণ হলে সুমীকে গৃহকর্তার কাছ থেকে উদ্ধার করে কিছুদিন আগে দেশে ফেরানো হয়েছে সরকারিভাবে। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে হবিগঞ্জের হোসনা আক্তার সৌদিতে নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বজনদের কাছে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে উদ্ধারের আকুতি জানান।
এমকে