দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো দুই বছর বাকি। ২০২৩ সালের শেষ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে নির্বাচন। তবে এরই মধ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বিএনপির সিদ্ধান্তের দিকে দলটির কর্মীরা। তবে দলটির নেতারা নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে একটি ‘শর্ত’র কথাই বারবার বলছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো আলোচনায়ও যাবে না বিএনপি। একমাত্র নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে বিএনপি। তাছাড়া তাদের (বর্তমান সরকার) অধীনে কোনো নির্বাচনে নয়।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আজ আইনের শাসনের নামে বেআইনিভাবে অবিচার করছে। তারা যা করছে তা বিচার করছে না বরং রাজনৈতিক নিপীড়ন করছে। আগামী দিনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে হুমকির দিকে ফেলছে। এর সঙ্গে রাজনীতিতে বিভেদ তৈরি করছে।
এদিকে সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পরিষ্কার করে বলছি, আগে পদত্যাগ করুন, একটা নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিন। তারপর নির্বাচনে যাবে বিএনপি।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না বলেও জানান তিনি।
এছাড়া দলটির আরেক নেতা মির্জা আব্বাসও একই কথা বলে আসছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকারকে দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব নয়। ফলে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়াও হবে না।
জেএন