খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক : সারা দেশে গত বছর ৫ হাজার ৫১৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ হাজার ৮৫৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৩০ জন। জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০১৯ সালের সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল আগের বছর ২০১৮ সালের প্রায় সমান। কিন্তু ২০১৮ সালের তুলনায় গত বছর প্রাণহানির সংখ্যা ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের সড়ক দুর্ঘটনায় শিকার মানুষদের মধ্যে ৯৮৯ জন বিভিন্ন যানবাহনের চালক, ৮৪৪ জন পরিবহন শ্রমিক ও ৮০৯ জন শিক্ষার্থী ছিলেন।
গত বছর দুর্ঘটনার শিকার যানবাহনের মধ্যে ১৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ ছিল বাস, ২৯ দশমিক ৮১ শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ও ২১ দশমিক ৪ শতাংশ মোটরসাইকেল। মোজাম্মেল হক দাবি করেন, মোটরসাইকেল চলাচলে কঠোর নজরদারির কারণে দুর্ঘটনার হার আগের বছরের তুলনায় গত বছর ৪ দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছে। তিনি আরও বলেন, ৮০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে কোনো মামলা হয় না। ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে মামলা হলেও সাজা হয় মাত্র ১ শতাংশ।সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনার ১২টি কারণ এবং দুর্ঘটনা রোধে ১২টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এই সংবাদ সম্মেলনে সড়ক নিরাপত্তাকে বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে দুর্ঘটনা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবদুল হক, ড্রাইভারস ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান নূরনবী শিমু, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি মো. তাওহিদুল হক প্রমুখ।
এস/আর