খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক:গ্যাসের দাম গড়ে ১০৩ শতাংশ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে দেশের শিল্পমালিকদের শীর্ষস্থানীয় সব সংগঠনের নেতৃবৃন্দও হাজির ছিলেন। শুনানিকালে তারা দাম বৃদ্ধির বিরোধিতা করেন। নতুন এ প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে গৃহস্থালী পর্যায়ে দুই বার্নার চুলার জন্য গ্যাসের দাম ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪৪০ টাকা। এক বার্নার চুলার দাম ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা। এ প্রস্তাবনায় শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দামও বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।
এদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানো বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘গ্যাসে বড় অংকের একটা ভর্তুকি দেয় সরকার। সেই ভর্তুকিটা আমরা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এই দাম বাড়ানোতে আমাদের যে লাভ হবে তা নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আরেকটা বিষয় হলো, আমাদের যে গ্যাসের অবস্থা সেটা পূরণ করার জন্য আমরা দামি গ্যাস এলএনজি নিয়ে আসছি। এই এলএনজি আনার জন্য বাড়তি একটি দাম এর মধ্যে যুক্ত হচ্ছে। যার বেশিরভাগ যুক্ত হবে শিল্প ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে। গৃহস্থালীতে এ ব্যাপারটি যুক্ত হওয়ার পরিমাাণ খুব কম। আমরা বিভিন্ন শিল্প কারখানার সঙ্গে কয়েকবার বসেছি। দাম বাড়ানোতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তাদের একটাই দাবি, তারা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস চায়। যে কারণে দাম বাড়ানো।’
অন্যদিকে উদ্যোক্তারা বলছেন, এমনিতেই বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে (এসএমই) খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ একটি দেশের শিল্পের মেরুদণ্ড- বলা হয়ে থাকে এ খাতকে। আমাদের দেশে যেসব উদ্যোক্তা ব্যাংক থেকে এক-দুই কোটি টাকা নিয়ে ব্যবসা করছেন, তাদের ক্ষেত্রে এক রকম নিয়ম। আর যারা ৫শ-৭শ কোটি টাকা বাগিয়ে নিয়েছেন, তাদের বেলায় ভিন্ন নিয়ম। এমন অসঙ্গতির পরও কিছু মানুষ সাহস করে ব্যবসায় আসছেন, থেকে যাচ্ছেন; নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এভাবে জ্বালানির দাম বাড়ালে এসব উদ্যোক্তার পথে বসতে হবে। এটি বিকাশমান অর্থনীতির ধ্বংস ডেকে আনবে।
এ ব্যাপারে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের জ্বালানী উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলছেন, শেষ মূল্যবৃদ্ধির ১২ মাস হয়নি এখনো। এর মধ্যে নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব আইন অনুযায়ী অবৈধ।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন