নিজস্ব প্রতিবেদক :
ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থীসহ সমর্থকদের উপর গুলি হামলা, গণ-গ্রেফতার বন্ধসহ নির্বাচনে লেভেল প্লেইিং ফিল্ড নিশ্চিৎকরণের দাবীতে নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ে প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মিনু বলেন, এই সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন তামাশার নির্বাচন করছে সারাদেশে যখন নির্বাচনের আমেজে মানুষ রয়েছে এবং সারাদেশ যখন নির্বাচনে মুখরিত হয়ে উঠেছে, ঠিক সে সময়ে সরকার দলীয় প্রার্থীরা তাদের ক্যাডার ও সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে। তারা বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মী, সমর্থক, এমনকি ধানের শীষের প্রার্থীদের উপর নগ্ন হামলা করছে। নির্বাচনী অফিস ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ, পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলছে। নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা প্রদান করছে। এই সরকার দেশে রাজতন্ত্র কায়েম কবার চেষ্টা করছে। মোহনপুরে পুলিশের সরাসরি সরকার দলীয় প্রার্থী এবং তাদের ক্যাডারদের সহযোগি করছে। দ্রুত প্রাধান নির্বাচন কমিশনার ও মোহনপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অপাসরণ দাবী করেন মিনু। সেইসাথে একবিন্দু রক্ত থাকাকালীন বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মী এবং ধানের শীষের প্রার্থীরা নির্বাচন ছেড়ে যাবেনা বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়াও শুক্রবারের মধ্যে ম্যাজিষ্ট্রেসী ক্ষমতা দিয়ে আর্মি মোতায়েনের দাবী জানান তিনি।
পবা-মোহনপুরের ধানের শীষের প্রার্থী এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন বলেন, চলতি মাসের ১৭ তারিখ রাজশাহী ৬টি আসনের ধানের শীষের প্রার্থীরা সরকারী দলের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। যা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্ররারিত হয়। মোহনপুরের মানুষ শান্তিপ্রিয়। এই শান্তির স্থানে অসান্তির আগুন জালানো শুরু করেছে সরকার দলীয় প্রার্থী ও তার নির্দেশে নৌকার সমর্থক ও দলীয় ক্যাডার ও সন্ত্রাসী বাহিনী। পুলিশের প্রত্যক্ষ সহতায় মোহনপুরে ত্রাস সৃষ্টি করেছে তারা। প্রতিদিন ধানের শীষের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ ও ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলছে এবং প্রচার মাইক ভাঙ্গচুর করছে ও প্রচারে বাধা দিচ্ছে। মিলন আরো বলেন, ০৩৩১২৩৪৫৬৭৮ এই নম্বরে র্যাব পরিচয় দিয়ে বিএনপি নোতকর্মীদের হয়রানী ও হুমকী প্রদান করছে। বিনা কারনে আজ দুপুরে তানোর পৌর মেয়রকে আটক করার জন্য ডিবি পুলিশ ওঁত পেতে ছিলো। পরে তিনি উকিল বারে আশ্রয় নেন। পুলিশের সহায়তায় সরকারী দলের এই সকল সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ না হলে নির্বাচনের মধ্যেও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারী দেন। সেইসাধে সকল বিষয় নিরিক্ষা করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবী জানান মিলন।এসমেয় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য
ও রাজশাহী সদর আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এবং পবা-মোহনপুর আাসনের ধানের শীষের প্রার্থেী এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ সাইফুল ইসলাম মার্শাল, মহানগর গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট হোসেন আলী পেয়ারা, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আব্দুল বারী, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল আলম রায়হান, নওহাটা পৌর মেয়র ও প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ মকবুল হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর