খবর২৪ঘণ্টা.কম,ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া নাশকতা, সহিংসতা, দ্রুত বিচার, পুলিশের কাজে বাধা প্রদান ও বিস্ফোরক মামলায় প্রায় ৫শ’ নেতাকর্মী আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আদালতে এসব মামলায় হাজিরা দেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা কর্মীরা।
হাজিরার দিন থাকায় সকাল থেকেই জেলার প্রায় ৫শ’ নেতাকর্মী আদালতে উপস্থিত হন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি নাশকতার মামলায় চার্জ গঠনের পূর্ব নির্ধারিত তারিখ থাকায় আদালতে হাজিরা দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ ৪৮ জন। পরে আদালত চার্জ গঠনের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
আড়াইহাজারে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও হামলার মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, আড়াইহাজার থানা যুবদলের সভাপতি জুয়েল ও ছাত্র দলনেতা সোহাগ। মামলার আরও ৭৭ জন উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। মোট ৮৭ জন আসামির মধ্যে এখনও ৬ জন আত্মসমর্পণ করেননি।
গাউছিয়ায় গাড়ি পোড়ানো ও বাস ভাংচুরের আরেক মামলায় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে হাজিরা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সালাহউদ্দিন দেওয়ানসহ ৩৪ জন বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মী।
রূপগঞ্জের একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরসহ ১৯৪ জন বিএনপি নেতাকর্মী। এই মামলায় কাজী মনির ও তার ভাই আহাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।
পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে জামিন প্রদান করেন। রূপগঞ্জ থানার আরেকটি মামলায় আদালতে হাজিরা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরসহ ১৯৩ জন বিএনপি নেতাকর্মী।
এছাড়াও হেফাজতে ইসলামের আরেকটি মামলাসহ মোট ৪টি মামলায় আদালতে হাজিরা দেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রানা মুজিব, মহানগর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে সদর থানার দ্রুত বিচার আইনের মামলা ও রূপগঞ্জ থানার বিস্ফোরক মামলাও রয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, বিভিন্ন মামলায় কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর বিএনপির শত শত নেতাকর্মী আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। এ ধরনের মামলা বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্যই করা হয়েছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়ায় এসব মামলা পরিচালনা করছি।
মামলার হাজিরা শেষে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়, কারণ মানুষ এখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা। তিনি বলেন, সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মামলায় আদালতে ব্যস্ত রাখতেই মিথ্যা মামলায় তাদের দিনের পর দিন আদালতে দাঁড় করিয়ে রাখে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ