নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। রোববার রাসিক নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে এসে এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৯টি অভিযোগ দিয়েও নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। যারা ধানের শীষের কাজ করছে তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা। তাদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। ডিবি পুলিশ পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার করছে। বর্তমানে ডিবি পুলিশ আ’লীগের অঙ্গসংগঠনে মতো করে কাজ করছে। সরকারী বাহিনী সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা মাথায় কাপনের কাপড় পরে নির্বাচনী মাঠে থাকবে। প্রশাসনের আচরণ সম্পূর্ণ হতাশাজনক বলেও তিনি জানান।
এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রিজাইডিং অফিসারদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল তাও তারা দেননি। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে আছি। আমার পক্ষে যারা পোলিং এজেন্ট রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটের মাঠে না থাকার জন্য পুলিশ বাহিনী হুমকি দিচ্ছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। মেয়র প্রার্থী বুলবুলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তপু বলেন, বুলবুলের পক্ষে এ পর্যন্ত যত আচরণ বিধি ভঙ্গের যত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও রাসিকের সাবেক মেয়র এবং এমপি মিজানুর রহমান মিনু বলেন, রাসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশেষ এলাকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে গ্রেফতার করানো হচ্ছে। এই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে সুষ্ঠ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে। বর্তমান অনির্বাচিত সরকার নির্বাচিত মেয়র বুলবুলকে বরখাস্ত করে বার বার জেলে ঢুকিয়ে হয়রানি করেছে। তারা শুধু মেয়র বুলবুলের সাথে বৈষম্য করেনি তারা রাজশাহীর মানুষের সাথেও বৈষম্য করেছে। সরকার যা কিছু করুক না কেন এই নির্বাচনী বিএনপি প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় অর্জন করবে।
এদিনও বিএনপি প্রার্থী চারটি অভিযোগ দেন সেগুলো হলো, গত ২৭ ও ২৮ জুলাই ধানের শীষ প্রতীকের ৩০/৩২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোন কোনে ক্ষেত্রে এজেন্টদের না পেয়ে তাদের বাবা ও ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সাদা পোশাকে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে আবার রাজশাহীতে না থাকারও হুমকি দিচ্ছে। ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে অবস্থান করলেই গ্রেফতারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রিজাইডিং অফিসারদের তালিকা লিখিত ও মৌখিকভাবে চেয়েও পাওয়া যায়নি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।