আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের উপনির্বাচনে মমতা বন্দোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের কাছে ব্যাপক ব্যবধানে ধরাশায়ী হয়েছেন বিজেপির প্রার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর ও করিমপুর এই তিনটি আসনেই জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর কেন্দ্র দুটি বিজেপির দখলে ছিল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপির পরাজয়ের পেছনে এনআরসি ইস্যু ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
উপনির্বাচনে অভাবনীয় এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মমতা তোপ দাগলেন বিজেপির ঔদ্ধত্যদের বিরুদ্ধে। সরব হন এনআরসি বিরুদ্ধেও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির ঔদ্ধত্য অহংকার। কখনো বলছে, এনআরসি করব। কখনো বলছে, মানুষকে বিতাড়িত করব। বলছে, নাগরিক অধিকার দেব। নাগরিকত্ব দেওয়ার ওরা কে? এমনিতেই তো সবাই এ দেশের নাগরিক।’
মমতা আরো বলেন, ‘১৯৯৮ সালে তৃণমূল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ২১ বছরে আমরা কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর আসন জিততে পারিনি। এবার মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছে। এটা মানুষের জয়। তাই মানুষকেই এই জয় উৎসর্গ করছি আমরা।’
মমতা বলেন, ‘বিজেপি পুরো দেশে সর্বনাশী খেলা খেলছে। নাগরিক বিল নিয়ে সন্ত্রাসবাস চালাচ্ছে তারা। বিভেদের খেলা খেলছে তারা। তবে ওদের অহংকার বাংলায় চলবে না। বাংলার মানুষ বুদ্ধিমান। তারাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তৃণমূল নেত্রী আরো বলেন, ‘তৃণমূল মানুষের ওপর বিশ্বাস ও ভরসা রেখেছে। কিন্তু বিজেপি বাংলার সম্প্রীতি, একতা ও মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করেছে। তারই ফল পেয়েছে তারা।’ মমতা আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমাদের নম্র হতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে।’
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনে হারার ব্যাপারে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয় বর্গীয় দাবি করেন, বুথ কবজা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। ‘ইমানদারিতে’ ভোট হলে বিজেপি জিতবে বলেই দাবি করছেন তিনি।
এমকে