নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ১৫ নং এবং বিকেল থেকে রাত অবধি ২২ও ২৩নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, মতিহার থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি হায়াতুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, , মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিপন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি সহ অত্র ওয়ার্ড গুলোর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, শুধিজন, সমাজসেবক, বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং সহশ্রাধিক সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের বুলবুল বলেন, দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বিএনপি ততই এগিয়ে যাচ্ছে। জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়েই চলছে। আওয়ামী লীগের মিথ্যাচারে মানুষ ভোটারগণ ভূলছেনা। এই অবস্থা দেখে আওয়ামীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা এখন ধানের শীষের গণসংযোগে বোমা হামলা করছে। ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন ছেঁড়া অব্যাহত রেখেছে। এগুলো খুলে ড্রেনে ফেলে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সর্বদা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। তারা খুন, নির্যাতন, গুম, মামলা, গ্রেফতার ছাড়া কোন কর্মকান্ড নাই। হামলা চালিয়ে কোন লাভ নেই। তারা কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। কিন্তু বিএনপি হচ্ছে উন্নয়নের রুপকার। রাজশাহীর যত ধরনের উন্নয়ন হয়েছে সব কিছুই বিএনপি আমলে হয়েছে। তিনি নির্বাচিত হলে আরো ১২-১৪টি নতুন ফরলেনের রাস্তা করা হবে। আর মেনুফেস্টারে তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি। রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ধানের শীষে ভোট প্রদান করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, পূণরায় বিজয়ী হলে বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে ক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও কারিগরী প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা সহ আরো নানা ধরণের কার্যক্রম গ্রহন করবেন। সেইসাথে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন। এছাড়াও ২০৫০ সাল নাগাদ রাজশাহীকে বিশ্বের অন্যতম সিটিতে পরিণত করা হবে। সেইসাথে ট্যাক্সের বোঝা কমিয়ে আনা হবে।
সুষ্ঠু ভোট হওয়ার স্বার্থে নেতাকর্মীরা প্রতিটি কেন্দ্র কঠোরভাবে পাহারা দেবেন। সেইসাথে ভোটের ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র হতে বের হবেন পোলিং এজেন্টরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ধানের শীষের বিজয়ের মধ্যে দিয়ে আগামীতে রাজশাহী থেকে বেগম জিয়ার মুক্তি ও হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে উল্লেখ করেন নেতাকর্মীরা।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে